টিটাগড়ের পার্টি অফিসে লাল গোলাপের মালা দিয়ে অর্জুন সিংহকে বরণ করলেন মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
লাল গোলাপের মালা পরিয়ে ‘বন্ধু’ অর্জুন সিংহকে বরণ করে নিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রবিবার তৃণমূলে যোগদানের পরেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে অর্জুন সিংহের পুনর্মিলনের জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে ডাক পেয়েছিলেন মদন। পুরনো সতীর্থকে বরণ করতে বৈঠকে লাল গোলাপের মালা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ফ্লুরোসেন্ট কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজার্স পরে টিটাগড়ের অফিসে মদন ঢুকতেই সৌজন্য জানাতে এগিয়ে আসেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন। হাত মিলিয়ে সৌজন্য বিনিময়ের পরেই অর্জুনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মদন। তারপর অনুগামীদের হাত থেকে লাল গোলাপের মালা নিয়ে পরিয়ে দেন অর্জুনকে।
মদনের এমন সৌজন্যের পাল্টা প্রতি নমস্কার করেন অর্জুন। বৈঠকে হাজির মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারী, প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সাক্ষী রইলেন সেই মুহূর্তের। তৃণমূলে থাকাকালীন মদন-অর্জুন সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতোই। মদনকে ‘দাদা’ ডাকতেন অর্জুন। কিন্তু ২০১৯ সালে অর্জুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী হন। সেই সঙ্গে ইস্তফা দেন ভাটপাড়ার বিধায়ক পদ থেকে।
২০১৯ সালে ভাটপাড়ার উপনির্বাচনে অর্জুনপুত্র তথা বিজেপি প্রার্থী পবন সিংহের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন মদন। ২১ হাজার ভোটে পবনের কাছে পরাজিত হন মদন। সেই থেকেই বন্ধুত্ব বদলে যায় বৈরিতায়। পরাজিত হওয়ার পর ফেসবুক লাইভে অর্জুনকে খোলা লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জও ছুড়েছিলেন মদন। তারপর পরস্পরকে বিদ্ধ করেছেন বাক্যবাণে। কিন্তু রবিবার তৃণমূলে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই মদনও সেই বৈরিতায় ইতি টানার ঘোষণা করেন। আর সোমবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ে লাল গোলাপে ‘বন্ধু’বরণ করে বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন মদন।