Madan Mitra

ভোটের মুখে সৌগতকে বেলাগাম তোপ মদনের

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বুধবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৫
Share:

মদন মিত্র। —ফাইল চিত্র।

সাংসদ সৌগত রায় কি বিজেপি-মুখী! অভ্যন্তরীণ তরজার সূত্রে দলের প্রবীণ সাংসদ সম্পর্কে ঘুরিয়ে এই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মদন মিত্র। নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল এই স্তরে পৌঁছনোয় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

Advertisement

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বুধবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের পরে জেলায় মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। তার পরে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিবাদে জড়ালেন দমদমের সাংসদ সৌগত এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন।

ঘটনার সূত্রপাত কামারহাটি পুর-এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে সৌগতের মন্তব্য ঘিরে। স্থানীয় পুরপ্রধান গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়েই পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন সৌগত। পুরসভার এক জনের নাম করে পুর-প্রধানের উদ্দেশে তিনি জানতে চান, পরিষেবার কাজে ওই ব্যক্তির ভূমিকা কি? কেন ওই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া মানুষ পরিষেবা পাবেন না? তারই জবাবে কামারহাটির বিধায়ক মদন বৃহস্পতিবার চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন সৌগতকে। বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘জাহাজ ডোবার ইঙ্গিত পেলে ইঁদুরেরা পালিয়ে যায়। রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে জানুয়ারি মাসে। তার পরেই লোকসভা ভোট। তার আগে কেমন একটা গন্ধ আসছে না?’’ তার পরেই মদনের মন্তব্য, ‘‘তবে তৃণমূল ডুবছে না! বিজেপির বিরুদ্ধে বাপের ব্যাটার মতো লড়াই করছে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ১৯৭৭ সালে ‘রিগিং’ করে জিতেছিলেন সৌগত। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ব্যারাকপুর অঞ্চলে কংগ্রেস বা তৃণমূল ভাল ফল করতে পারেনি। মদনের অভিযোগ নিয়ে অবশ্য প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি সৌগত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement