মদন মিত্র নিজস্ব চিত্র।
‘‘মদন খুব কালারফুল’’-- তাঁর প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রংবেরঙের পোশাক, সানগ্লাস থেকে ফেসবুক লাইভেই ধরা পড়ে তাঁর জনপ্রিয়তার আঁচ। এ বার সেই মদন মিত্রকেই 'শিল্পী 'তকমা দিয়ে চিঠি পাঠান হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। মঙ্গলবার শান্তিপুর থেকে চিঠিটি এসে পৌঁছয় বিধানসভায়। যেহেতু বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলছে, তাই কামারহাটির বিধায়ক এসেছিলেন অধিবেশনে যোগ দিতেই। সেখানেই মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষের আপ্ত সহায়কের ঘরে এসেছিল চিঠিটি। মঙ্গলবার অধিবেশন চলাকালীনই সেখানে আসেন মদন। এসেই জানতে পারেন, তাঁর নামে একটি চিঠি এসেছে সেখানে।
চিঠিটি এসেছে, 'শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী' নামের এক সংগঠন থেকে। রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে বিধায়ক তথা শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিটি হাতে দেওয়ার আগেই সেখানকার কর্মচারীরা মদনকে জানান, চিঠিতে মদনকে বিধায়কের সঙ্গে 'শিল্পী' বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পরে হাতে চিঠিটি নিয়ে নিজেও হেসে ফেলেন তিনি। সেখানে উপস্থিত সতীর্থরাও মদনের সঙ্গে তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে মৃদু মস্করাও করেন। জবাবে মদন বলেন, ‘‘মানুষের ভালবাসা পেতে কার না ভাল লাগে! যাঁরা আমার উদ্দেশে এই চিঠি পাঠিয়েছেন, তাঁরা হয়তো আমার মধ্যে শিল্পীকে দেখেছেন। তাই ভালবেসেই লিখেছেন।’’ এ বারের ভোটে জিতলেও তাঁকে মন্ত্রী করেননি মমতা। কিন্তু এমন চিঠি পাওয়ার পর বিধানসভায় সতীর্থরা বলছেন, ‘‘মন্ত্রী হয়েও কোনও নেতা এমন জনপ্রিয়তা পান না, যা মদনের শুধু বিধায়ক হিসেবে রয়েছে। যাঁরা চিঠিটি দিয়েছেন, তাঁরা হয়তো ফেসবুক লাইভে মদনের গান শুনেছেন।’’