জলকেলি করতে করতেই লাইভে মদন মিত্র। ছবি: ফেসবুক।
আবার ফেসবুকে ‘লাইভ’ করতে করতে ধরা দিলেন কামারহাটির বিধায়ক তথা তৃণমূলের ‘রঙিন’ নেতা মদন মিত্র। তবে এবার চোখে ঝলমলে রোদ চশমা পরে নয়। একেবারে আদুড় গায়ে। কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হয়ে। সুইমিং পুলে জলকেলি করতে করতে খোশমেজাজে লাইভে এলেন মদন। এবং বললেন, ‘‘বৈ়জ্ঞানিকরা জ্ঞানসমুদ্রের তীরে নুড়ি কুড়োনোর কথা বলতেন। কিন্তু ক্যাবিনেট মন্ত্রী থেকে দলের সর্বভারতীয় যুব তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক সমুদ্রের কূলে নুড়ি কুড়োতে পারিনি।’’
রাজনীতির তীরে নুড়ি কুড়োতে না পেরে সুইমিং পুলেই নুড়ি কুড়োতে নেমেছেন বলেও মদন মন্তব্য করেন। আর সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘‘দয়া করে আমাকে প্রেস করবেন না। অযথা আমাকে বিরক্তও করবেন না।’’ মদনের এই বক্তব্যে খানিক ‘দুষ্টুমি’ আছে বলে মনে করছেন তাঁর দলীয় সহকর্মীদের একাংশ। কারণ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা দলীয় বৈঠকে দেরি করে পৌঁছে মৃদু ‘বকুনি’ খান মদন। দেরির কারণ হিসেবে তিনি মমতাকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই নাকি তাঁর দেরি হয়েছে। সে কথা শুনে মদনকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এত কথা বলার কী আছে?’’ এই ঘটনার পর দিনই লাইভে এসে তাঁকে ‘প্রেস’ (প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা ‘প্রেস কনফারেন্স’ বা সাংবাদিক বৈঠককে সংক্ষেপে ‘প্রেস’ বলে থাকেন) না করার কথা বললেন মদন।
এর পর সুইমিং পুলে চিৎসাঁতার কাটতে কাটতে গুনগুন করে গানও ধরেন মদন, ‘কেউ কথা কোয়ো না, কেউ শব্দ কোরো না’ ইত্যাদি। তার পরেই স্বমহিমায় বলে ওঠেন ‘ওহ্ লাভলি’! যাঁরা রাজনীতির সমুদ্রে সাঁতার কাটতে চান, তাঁদের জীবনের সমুদ্রে সাঁতার কাটার নিদানও দেন পরাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন।