মদন মিত্র নিজস্ব চিত্র।
কামারহাটি পুরসভার পুর প্রশাসক হতে চেয়ে ফেসবুক লাইভ করে দলনেত্রীর কাছে ভর্ৎসিত হয়েছিলেন তিনি। এ বার সেই কামারহাটি পুরসভার বৈঠকে ডাক পেলেন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র। সোমবার দুপুর ২টোয় কামারহাটি পুরসভার সমস্ত কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গেই থাকবেন স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়। থাকবেন পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল সাহাও। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে একটি ফেসবুক লাইভ করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। প্রকাশ্যে সরাসরি দলনেত্রী মমতার কাছে কামারহাটির পুর প্রশাসকের দায়িত্ব চেয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে কামারহাটি পুর প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হলে ৩ মাসের মধ্যেই ওই পুরসভার ভোল পাল্টে দেবেন। কলকাতা শহরের চেয়েও উন্নত করবেন কামারহাটিকে। তবে ভিডিওটি আবার দ্রুত উবেও যায়। মদনের ফেসবুক পেজে গেলে এখন আর সেটি দেখা যাচ্ছে না। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই মদনের ওই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। সেটি ঘুরতেও শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ সহ নেটমাধ্যমে। যদিও আনন্দবাজার ডিজিটাল ওই ভিডিয়োর সত্যাসত্য যাচাই করেনি।
শনিবার তৃণমূল ভবনে ফেসবুক লাইভ নিয়ে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে মদন মিত্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরিই মদনকে জানিয়ে দেন, নেটমাধ্যমে যখন তখন যা খুশি বলা যায় না! বৈঠকের পর প্রশ্ন করা হলে মদন অবশ্য ওই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাকে বলেছেন, তোমায় সবাই ভালবাসে। তুমি তোমার ফেসবুক লাইভগুলো আরও সাজিয়ে-গুছিয়ে সুন্দর ভাবে করবে। যাতে আমাদের সুবিধা হয়।’’ এমন ঘটনার এক দিন পরেই তাঁকে কামারহাটি পুরসভার বৈঠকে ডাকা হল। কামারহাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রশাসক গোপাল বললেন, ‘‘সোমবার পুরসভার কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়ককেও।"