তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
শনিবার জাতীয় স্তরে অভিষেক ঘটেছে। রবিবার কাজে নামার আগে আশীর্বাদ নিতে গেলেন দলের মহাসচিবের বাড়িতে। রবিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর এই কর্তব্যবোধ আসলে দলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ ভারসাম্য বজায় রাখারই কৌশল। তবে তার থেকেই বেশি করে ফুটে উঠেছে অভিষেকের রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধি।
রবিবার পার্থর নাকতলার বাড়িতে যান তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আশীর্বাদ নিতে পার্থর বাড়িতে যান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার সূত্রে মহাসচিবের কাছ থেকে পরামর্শও গ্রহণ করেন তিনি। তবে শুধুমাত্র পার্থ নন, দলের অনেক প্রবীণ নেতারও আশীর্বাদ নিতে চান অভিষেক। সেই লক্ষে হয়তো আরও অনেক প্রবীণ নেতার বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
দলের অন্দরে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে রাজনীতিতে কৌশল একটা বড় পদ্ধতি বলে মনে করা হয়। সে ক্ষেত্রে দলের মধ্যে নিজেকে মেলে ধরার এটা একটা কৌশলও হতে পারে অভিষেকের। কারণ দলের মধ্যে অভিষেক তুলনায় নবীন। আবার তৃণমূলের সদ্য নতুন কমিটিতে রয়েছেন অনেক নবাগত। সেখান থেকে বিচার করলে পার্থরা দীর্ঘদিন ধরে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও যে কাজটা করেছিলেন অভিষেক। প্রবীণদের পাশাপাশি তিনি নবীনদের এগিয়ে দিয়ে ছিলেন সামনের সারিতে। ভোটে জয় লাভেরও পরও তা বজায় রাখা দরকার। তাই রবিবার পার্থর বাড়িতে অভিষেকের এই উপস্থিতি যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।