Low depression

নয়া নিম্নচাপে জোরালো বর্ষার আশা

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা বুধবার জানান, আগামী রবিবার নিম্নচাপটি দানা বাঁধতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০৩:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের যেন বিরাম নেই!

Advertisement

ওড়িশা উপকূলে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের খবর, সেটি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিতে চলেছে এবং তার প্রভাব কাটতে না-কাটতেই ফের একটি নিম্নচাপ জন্ম নেবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী নিম্নচাপটির জেরে গাঙ্গেয় বঙ্গে বর্ষা জোরালো হবে। তার জেরে শহর ও শহরতলি এলাকায় জল জমতে পারে এবং নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা বুধবার জানান, আগামী রবিবার নিম্নচাপটি দানা বাঁধতে পারে। তবে ওড়িশার উত্তর উপকূলের উপরে থাকা নিম্নচাপের জেরে গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে আজ, বৃহস্পতিবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী রবিবার দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে একাংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী সোমবার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় সে দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী মঙ্গলবারও বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

Advertisement

জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে একটিও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। উত্তরবঙ্গে জোরালো বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি মেলেনি বললেই চলে। অগস্টের গোড়া থেকেই একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হলেও তার সরাসরি প্রভাব গাঙ্গেয় বঙ্গে পড়েনি। বেশির ভাগ বৃষ্টি ওড়িশা ও মধ্য ভারতে হয়েছে। কিন্তু এ বারের নিম্নচাপটির ‘কৃপাদৃষ্টি’ গাঙ্গেয় বঙ্গ পেতে পারে। আপাতত সামগ্রিক ভাবে ৮ শতাংশ বর্ষার ঘাটতি রয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। তার অনেকটাই মিটবে বলে অনুমান আবহবিদদের।

নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির বার্তা স্বস্তির আশ্বাস দিলেও আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, এ বছর অগস্টে যে ভাবে কম সময়ের ব্যবধানে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে তা বর্ষার চেনা চরিত্রের মধ্যে মেলে না। যেমন স্বাভাবিক ছন্দ মেনে এ বার জুলাইয়ে নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। এই ঘটনা বর্ষার ছন্দবদলের ইঙ্গিত কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছে বিজ্ঞানী মহলে। তাঁদের মতে, গড়ে বর্ষার হিসেব ঠিক থাকলেও সামগ্রিক ছন্দ কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। এ বছর ১ জুন থেকে এ দিন পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গে ৮ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু তার পিছনে অনেকটাই দায়ী জুনের অতিবৃষ্টি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement