বিরোধীদের হারিয়ে শীর্ষে সেই তৃণমূল

মুর্শিদাবাদে  রাজ্যের শাসক দল, তৃণমূল রয়েছে শীর্ষে। তার পরেই জায়গা করে নিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

চরণ ধরিতে দিয়ো গো... বাঁ দিকে, অপূর্ব সরকার। ডান দিকে, অধীর চৌধুরী। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

ভোট আসতে এখনও ঢের দেরি। ফল প্রকাশ হবে তারও পরে। তবে ইতিমধ্যে অন্য একটি ফল জানা গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নবাবের জেলা, মুর্শিদাবাদে রাজ্যের শাসক দল, তৃণমূল রয়েছে শীর্ষে। তার পরেই জায়গা করে নিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম। সবথেকে পিছিয়ে বিজেপি।

Advertisement

নির্বাচন নয়, উপরের ফলটা আসলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের হিসেব বলছে, জেলায় মোট ৯ হাজার ৮২৪টি নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৭ হাজার ৭৬টি বিধিভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলছেন, ‘‘বেশিরভাগ বিধিভঙ্গের অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’

জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ প্রত্যেকের মেনে চলা উচিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে যায়। এ বারে বিধিভঙ্গের পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দলের কর্মীরা যথেষ্ট দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। ফলে খুবই কম বিধিভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সেই সঙ্গে জয়ন্তের অভিযোগ, ‘‘শাসক দল পঞ্চায়েতে যেমন ভোট করেছে, এ বারেও তাই করতে চাইছে। তাঁরা ভুলে গিয়েছে, এ বারে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় ভোট হচ্ছে। ওরা ভয় দেখাচ্ছে, সন্ত্রাস করছে। তাই নিয়ম মেনে আমরাও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছে।’’

জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাসের দাবি, ‘‘বিরোধীরা আসলে হালে পানি পাচ্ছে না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।’’

বিজেপির জেলার সহ সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দলের বিরুদ্ধে জেলায় যৎসামান্য বিধিভঙ্গ হয়েছে। সেটাও আমাদের কর্মীদের অজান্তে, ভুল করে। কিন্তু শাসক দল ভুল করে নয়, পরিকল্পিত ভাবে নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি দেওয়ালে রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখন চলবে না। সরকারি সম্পত্তিতে ব্যানার, পোস্টার লাগানো নিষেধ। একই ভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতেও মালিকের অনুমতি ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলি দেওয়ালে লিখতে পারবে না। ব্যানার বা পোস্টারও লাগানো যাবে না।

অথচ জেলার বেশ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি সরকারি সম্পত্তিতে দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি ব্যানার পোস্টার লাগিয়েছে। আর সেই কারণে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়েছে।

তবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তিতেও মালিকের বিনা অনুমতিতে ব্যানার পোস্টার লাগানো বা দেওয়াল লিখনের জন্যও বিধিভঙ্গের আওতায় পড়েছে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলিও একে অপরের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশনে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৭৬টি বিধিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ১৬টি বাদে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। আবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ১২৬৯টি বিধিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি বাদে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।

সিপিএমের বিরুদ্ধে ৯৯৩টি বিধিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ৬টি বাদে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ৪৮৬টি বিধিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ১১টি বাদে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement