—ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে ভোটের প্রচারে বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে বুধবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে গুরুংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার ছবি দেখিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানালেন, বিমল-রোশনরা বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করছেন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান বলে আপাতত গ্রেফতারি থেকে সুরাহা চেয়ে বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চে তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে প্রায় ৩৫০ মিথ্যে মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। বিনয় তামাং, অনীত থাপারা শিবির বদল করতেই রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা তুলে নিচ্ছে। সিব্বল পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, যদি বিনয় তামাংরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে থাকেন, তা হলে বিমল-রোশনরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলতে হয়।
বিমল-রোশনদের সুরাহার বিষয়ে আজ বিচারপতি মোহন শান্তনাগৌড়ার প্রশ্ন তুলেছেন, বিমল-রোশনদের গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দেওয়ার পরে, প্রচার সেরে তাঁরা পালিয়ে গেলে কী হবে? বিমল-রোশনদের কোনও রকম সুরাহায় আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, বিমল-রোশনদের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা ঝুলছে। তাঁরা ঘোষিত পলাতক। গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলার গুরুত্ব বোঝাতে তাঁর ফোনে কথাবার্তার রেকর্ড মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টের হাতে তুলে দেন সিব্বল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজ্য সরকার যে কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব করছে না, তা বোঝাতে সিব্বল বলেন, অন্তত ৯টি মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট থেকে বিমল গুরুংয়ের নাম বাদ গিয়েছে। বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি নবীন সিন্হা প্রস্তাব দেন, গোটা মামলা কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু গুরুংদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি তোলেন, সে ক্ষেত্রে ১৮ এপ্রিল দার্জিলিংয়ের ভোটগ্রহণ পেরিয়ে যাবে। ওই ভোটে বিমল-রোশনদের নিজের মত প্রচার করতে দেওয়া হোক। তার পরে তাঁরা নিজেরাই জামিনের আবেদন করবেন।