শোভনের ‘ছায়া’ সরিয়ে সামনে রত্না

কর্মিসভায় যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁরা সকলেই শোভনের সঙ্গে নির্বাচনে কাজ করেছেন।

Advertisement

রাজীব চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪০
Share:

দলীয় বৈঠকে রত্নাকে মঞ্চে তুলেই তা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রাজনীতিতে তিনি অনুপস্থিত দীর্ঘদিন। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘ছায়া’ই কি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পাওয়া রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সামনে? লোকসভা নির্বাচনে আগে শোভনের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সেই মেজাজ বুঝে নিতেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।

Advertisement

নেতা-মেয়র-মন্ত্রী হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু নিজের ওয়ার্ড ১৩১ নম্বর শোভনের খাস তালুক। তবে গত দেড় বছর দল এবং প্রশাসন থেকে দূরত্ব বেড়েছে শোভনের। এই অবস্থায় এই ওয়ার্ডের দায়িত্ব তাঁর স্ত্রী রত্নাকে দিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি দলীয় বৈঠকে রত্নাকে মঞ্চে তুলেই তা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে শোভনের ‘ছায়া’য় দলের অন্দরে তখন থেকেই কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। তা বুঝেই ‘খোলামেলা’ কথা বলতে এই বৈঠকে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ডেকেছিলেন রত্না। তাঁর কথায়, ‘‘ওয়ার্ডে শোভনবাবুর দীর্ঘ অনুপস্থিতি এবং আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েনে দলীয় কর্মীদের একাংশকে দ্বিধাগ্রস্থ মনে হয়েছে।’’ বেহালায় শনিবার ‘দ্বিধা’ কাটাতে রত্না দলীয় একটি কার্যালয়ে বৈঠকে করেন কর্মীদের সঙ্গে।

বৈঠকে রত্না সরাসরিই জানতে চান, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ায় কেউ অসন্তুষ্ট বা ক্ষুব্ধ কি না। বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে জানিয়েছেন, শোভনবাবুর পারিবারিক সমস্যার নিয়ে তাঁদের অস্বস্তি ছিল। পরে রত্না বলেন, ‘‘শোভনবাবুর অনুপস্থিতিতে ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন কর্মীরা। নেতৃত্বহীনতায় ভুগছিলেন। আমার কাছে আসবেন কি না, তা বুঝতে পারছিলেন না। বৈঠকের পরে বিভ্রান্তি কেটে গিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কর্মিসভায় যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁরা সকলেই শোভনের সঙ্গে নির্বাচনে কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন অভিজিৎ মিত্রের বক্তব্য, ‘‘রত্নাদিকে সকলেই মেনে নিয়েছি। এখন আর কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। সকলেই একসঙ্গে কাজ করছি।’’ আর রত্নার কথায়, ‘‘পুরনো কর্মী, যাঁরা দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন, তাঁদের নিয়েই কর্মিসভা করেছি। নেতৃত্বহীনতার কারণে তাঁরা বিভ্রান্ত ছিলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement