কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বাদানুবাদে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে বুথে বুথে ভোট দেখে বেড়াচ্ছিলেন হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিপত্তি ঘটল বালিটিকুরিতে। সেখানকার মুক্তারাম হাইস্কুলে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি, মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। পাল্টা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন জওয়ানরা। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বুথে ঢোকায় প্রসূনবাবুকে বার করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
হাওড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরছিলেন। সঙ্গে প্রায় সব সময়েই ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। বালিটিকুরির ওই বুথে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের দলীয় প্রার্থীকে ঠেলে জোর করে বুথের বাইরে বার করে দেন।
ঘটনার পর বুথে ঢোকার মুখে আটকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী অনৈতিক ভাবে দলীয় প্রার্থীর গায়ে হাত তুলেছে। ওই সময় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা যায়, ‘‘সাংসদের গায়ে হাত দিয়েছে। কমিশনকে খবর দে।’’ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও তখন ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী হায় হায়, সিআরপিএফ গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন। বুথের গেটে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত সাংসদকে ঠেলে বাইরে বের করে দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল কর্মীদের দলে কয়েক জন মহিলাও ছিলেন। অনেকেই হম্বিতম্বি করতে থাকেন, ‘‘লাইভ কর, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে।’’ একজনকে ক্যামেরার সামনেই ‘সবাইকে ডাক’ বলতে বলতে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তখন ওই বুথের গ্রিলের দরজার ভিতরে ঢুকে পড়েছেন। বাইরে তখনও তৃণমূলের স্লোগান চলছে। তখনই জওয়ানরা ফের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এবং এ বার লাঠি নিয়ে। শুরু হয় লাঠিচার্জ। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে গোটা চত্বর ফাঁকা করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে জেলে পাঠাচ্ছেন দিদি’, অভিযোগ মোদীর
আরও পডু়ন: আমডাঙায় এ বার বাঁশ নিয়ে তাড়া অর্জুন সিংহকে, দেখুন ভিডিয়ো
প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট থেকে শুরু করে ভোটকর্মীদের আলাদা আলাদা পরিচয়পত্র দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের বুথের ভিতর ঢুকতে গেলে সেই পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে বা এমন ভাবে রাখা উচিত, যাতে সেটা স্পষ্ট দেখা যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বক্তব্য, ওই ব্যক্তি (প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়) পরিচয়পত্র না দেখিয়েই বুথে ঢুকেছিলেন। তাই তাঁকে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।