জগদ্দলের সভায় নরেন্দ্র মোদী। ছবি: বিজেপির টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংহ। তাঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমে জগদ্দলের সভা থেকে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে এ দিন মোদী বলেন, ‘‘মোদীর সভায় ভিড় দেখে দিদির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। বাংলায় উন্নয়ন ঘটিয়ে আপনাদের এই ভালবাসার মর্যাদা রাখব আমি।’’
জাতীয়তাবাদ এবং দেশভক্তি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পাকিস্তানের কথায় বিশ্বাস রয়েছে অথচ দেশের জওয়ানদের উপর ভরসা নেই। তাই অভিযানের প্রমাণ চেয়ে বেড়ান।’’ দেশভক্তি নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের মধ্যে একজন বলে দাবি করেন মোদী। মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবেন না বলে জানান তিনি।
পাটশিল্প নিয়ে আগের বাম সরকার কোনও কাজ করেনি। ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল সরকারও। ট্রেড ইউনিয়ন সিন্ডেকেট পাট শিল্প ও পাট চাষিদের বঞ্চিত করেছে। ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য আমরা মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করেছি। এক জন মহিলা হয়েও মমতাদি এই ধরনের অপরাধ মোকাবিলার কোনও চেষ্টা করেননি। সাধারণ মানুষের উচিত ওঁকে শিক্ষা দেওয়া। গত পাঁচ বছরে দেশের মহান ব্যক্তিদের বীরত্ব ও কীর্তি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেছে আমাদের সরকার। লালকেল্লায় নেতাজির ক্রান্তি পীঠস্থান তৈরি করা হয়েছে। বাংলার ছেলেমেয়েদের সেখানে যেতে আহ্বানম জানাচ্ছি। পরিবারতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে ভুলে গিয়েছেন বিরোধীরা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম আইএনএর মহান সংগ্রামীদের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বাংলার জন্য কিচ্ছু করেননি মমতাদি। বরং কেন্দ্রীয় প্রকল্পের গায়ে নিজের দলের স্টিকার বসিয়ে দিয়েছেন। সরকারের টাকায় গুন্ডা পুষেছেন। তৃণমূলের জমানায় বাংলায় একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলার উন্নয়নে দিদি স্পিড ব্রেকার। বাংলা জুড়ে এখন সিন্ডিকেট রাজ। আরও পড়ুন: ইভিএম-এর বোতামে আতর! ভোট দিয়ে বেরোলেই আঙুল শুঁকছেন তৃণমূল কর্মীরা বিরোধীরা কথায় উত্সাহ পেয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা মমতাদিও এই বিরোধীদের মধ্যে একজন। আপনারা ওঁকে ক্ষমা করবেন? বিরোধীরা সেই সেনার অভিযান নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন। পাকিস্তানের উপর আস্থা ওঁদের, কিন্তু সেনার উপর ভরসা নেই। বীর সেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছেন। পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের খতম করেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থই যাঁদের কাছে সবকিছু, তাঁদের উত্খাত করুন। রাষ্ট্র সঙ্গীতের রচয়িতা শ্রী বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি, স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী মঙ্গল পাণ্ডের কর্মভূমিতে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।