চলছে লেখা। নিজস্ব চিত্র
ভোটের প্রচারে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে কথা মাথায় রেখে প্রচারের জন্য ফ্লেক্সের বদলে মাদুর বেছে নিয়েছে নদিয়া জেলা প্রশাসন।
প্রায় সব রাজনৈতিক দলই কমিশনের পরামর্শে কান না-দিয়ে কম-বেশি ফ্লেক্স ব্যবহার করে চলেছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। মাদুর ব্যবহার করে তাদেরও বার্তা দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ। প্রশাসন-সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট দিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করতে মাদুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মাদুরের উপরেই শিল্পীদের দিয়ে সচেতনতার বার্তা লিখে ও ছবি একে প্রচার চলছে। তাতে পরোক্ষে রাজনৈতিক দলগুলির সামনে একটা নিদর্শন তুলে আনা হচ্ছে বলেও খবর।
নদিয়ার জেলা শাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “আমরা চাইছি নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত প্রচারই এ ভাবে পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠুক। আশা করছি অন্যরাও আগামী দিনে একই পথে হাঁটবে।’’ প্রথমে ঠিক হয়, কাগজ ও কাপড় ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ব্যবহারের পর দেখা যায়, ঝড় ও বৃষ্টিতে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। তখনই মাদুর ব্যবহারের প্রস্তাব ওঠে।
প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের মতে, শুধু পরিবেশবান্ধবই নয়, মাদুর অনেক দিন স্থায়ীও হয়। সেই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দনও বটে। তাই সিদ্ধান্ত হয়, মাদুরই ব্যবহার করা হবে। দিন কয়েক আগে পিচের রাস্তায় ছবি এঁকে প্রচার চালিয়েছিল প্রশাসন। শহরের শিল্পীদের দিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত রাস্তায় ছবি আঁকিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এ বার ব্যবহৃত হচ্ছে মাদুর। অনেকটা ক্যালেন্ডারের মতো করে তৈরি হচ্ছে সেগুলি। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনিক ভবনে টাঙানোও হয়েছে এ রকম কয়েকটি মাদুর। এ বার তা টাঙানো হবে ব্লক ও মহকুমা শাসকের দফতরেও।
প্রশাসনের দেখানো পথে কি এ বার রাজনৈতিক দলগুলিও ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে হাঁটবে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘আমরা আগেও পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারে উদ্যোগী হয়েছি। মাদুর ব্যবহার করা যায় কি না, তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করব।’’ বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের কথায়, ‘‘মাদুরে প্রচার কতটা সম্ভব তা জানি না। তবে চিন্তা-ভাবনা করে নিশ্চয়ই দেখা হবে।’’