বিজেপি প্রার্থীর প্রতীকের নীচে দলের নাম। —নিজস্ব চিত্র।
অন্যদের শুধু দলীয় প্রতীক। কিন্তু বিজেপির প্রতীকের নীচে দলের নামও লেখা! শুক্রবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বৈদ্যুতিন ভোটগ্রহণ যন্ত্র (ইভিএম) ‘কমিশনিং’ (ইভিএম-এ প্রার্থী ও তাঁর প্রতীক সম্বলিত কাগজ লাগানো ও তা ঠিকঠাক কাজ করছে কি না তা দেখা)-র সময়ে বিজেপির এমন প্রতীক দেখে প্রতিবাদ জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
রাজ্য মুখ্য নির্বাচন অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবের কাছে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ দিল্লিতে পাঠান সিইও। সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় সিইও দফতরকে জানানো হয়, এটিই বিজেপির অনুমোদিত প্রতীক।
তবে কেন্দ্রের শাসক দলের ক্ষেত্রে নাম লেখা প্রতীককে কেন ছাড়পত্র দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তুলে আজ, শনিবার শনিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা তৃণমূল, টিডিপি, আপ নেতৃত্বের। কমিশনে যেতে পারে কংগ্রেসও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির প্রতীক নিয়ে এ দিন সিইও-র কাছে অভিযোগ জানাতে যান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ইভিএমে পার্টির নাম থাকে না। প্রতীক থাকে। অন্যদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। একটি দলকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’’ ব্যারাকপুরের তৃণমূলের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘শুধুমাত্র কেন্দ্রের শাসক দলের প্রতীক আলাদা করার অর্থ কী, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।’’ ব্যারাকপুরের সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান না হলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
কমিশনের একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, কমিশনের একাংশের মতে, ২০১৪ সালের লোকসভা এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির এই প্রতীকই ব্যবহার হয়েছিল। অন্য রাজ্যেও এই প্রতীকেই ভোট চলছে।
পঞ্চম দফার নির্বাচনে রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রের জন্য এ দিন ‘কমিশনিং’ ছিল। ব্যারাকপুর ছাড়া অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও অভিযোগ কমিশনে যায়নি বলে খবর। ব্যারাকপুর থেকে অভিযোগ আসার পরে সেখানে ‘কমিশনিং’ বন্ধ রাখা হয়। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের সংশয় নিরসন না করে কমিশনিং-এর কাজ হবে না।’’ বিকেলের দিকে ফের ‘কমিশনিং’ চালু করার চেষ্টা হলেও বিজেপি ছাড়া অন্য দলগুলি তাতে অংশ নেয়নি।