—ফাইল চিত্র।
শুধু ভোটের দিন নিরাপত্তা রক্ষা কিংবা ভোটের কয়েক দিন আগে ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে ক্ষান্ত থাকতে চায় না নির্বাচন কমিশন। ভোটের পরেও এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবহার হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রগুলির সাধারণ, খরচ সংক্রান্ত এবং পুলিশ-পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সোমবার ভিডিয়ো-সম্মেলন করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশন সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ভোট-পরবর্তী অশান্তি এড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
ভোটের পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গোলমালের অভিযোগ আসে। তা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হলে ভোটারেরাও ভোটদানে আরও বেশি আগ্রহী হবেন বলেই মনে করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের মতে, অনেক সময় ভোটের গতিপ্রকৃতি মনঃপূত না-হলে একটি রাজনৈতিক দল অন্যদের আক্রমণ করে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে সহজেই তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত। তাই ভোটের পরেও বাহিনীর ব্যবহার করা হতে পারে। কমিশন সূত্রের খবর, বাহিনী যেমন পাওয়া যাবে, সেই অনুযায়ী ব্যবহার হবে। ভোটার এবং ভোটকর্মীদের নিরাপত্তাকেই সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে কমিশন। এ দিনের ভিডিয়ো-সম্মেলনে সেই বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা করে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। প্রথম দফায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ বিভ্রাট কম হলেও কয়েকটি জায়গায়
অশান্তি বাড়িয়েছিল ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট)। সেই বিষয়েও সতর্ক থাকার জন্য এ দিন সব রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশনের একাংশের মতে, ইভিএম-ভিভিপ্যাট নিয়ে কয়েকটি দল বিভিন্ন ধরনের প্রচার করেছে। ভোটে যদি ইভিএম-ভিভিপ্যাটে বেশি ত্রুটি ধরা পড়ে, সমস্যা বাড়বে। সেই জন্যই তা নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।