মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: এএফপি।
বিজেপির বিরোধিতায় কংগ্রেসের ‘ভুমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রায়গঞ্জে দলের নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘তুমি লড়াইটা ভাল ভাবে করলে বিজেপি এই প্রশ্রয় পেত না।’’ বিজেপির বাড়বাড়ন্তে প্রচ্ছন্ন হলেও কংগ্রেস, সিপিএমের যৌথ ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করে ইসলামপুরের সভায় মমতা দাবি করেন, ‘‘এখানে কংগ্রেস, সিপিএম কেউ জিতবে না। ওরা চায়, ওদের মদতে বিজেপির শক্তি বাড়ুক।’’
আজ, বুধবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর রায়গঞ্জে সভা করার কথা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাহুল রায়গঞ্জে আসার আগের দিন রাজ্যে তৃণমূলকে একমাত্র বিজেপি-বিরোধী শক্তি হিসেবে সচেতন ভাবে চিহ্নিত করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহের সভায় মমতাকে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতার এ দিনের বক্তব্য তারই জবাব বলে অনেকে মনে করছেন।
এ দিনের সভাতেও কেন্দ্রে তৃণমূলের নেতৃত্বে সরকার তৈরির দাবি করেন মমতা। রায়গঞ্জের সভায় তিনি বলেন, ‘‘এ বারের ভোটটা আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। এ বারের ভোটটা আমাদের দিন। এ বার কেন্দ্রে সরকার গঠনে তৃণমূলই সব থেকে বড় ভূমিকা নেবে।’’ একই সুরে ইসলামপুরের সভাতেও তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্রে মা-মাটি-মানুষ সরকার গড়বে।’’
কংগ্রেসকে তার গড় মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে বেশি নজর দিতে পরামর্শ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘ওখানে ওদের সরকার আছে, ওখানে লড়াই করুক। যার যেখানে শক্তি বেশি, সে সেখানে লড়ুক।’’ জাতীয় স্তরে, একক দল হিসেবে কংগ্রেসকে তিনি যে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, তার ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘তুমি মাত্র তিন-চারটে রাজ্যে আছ। কোথা থেকে করবে!’’
কংগ্রেসের এক সময়ের শক্ত জমি উত্তর দিনাজপুরে দাঁড়িয়ে মমতা এ দিন বারে বারেই ওই দলকে আক্রমণের লক্ষ্য করেছেন। অসমের নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির সময়ে কংগ্রেসের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অসমে আমি তৃণমূলের দল পাঠিয়েছিলাম। লড়াই করেছি। কংগ্রেস, সিপিএম লড়াই করেনি। ’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের সভায় যোগ দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। তাদের স্বাগত জানান পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব লড়াই করছেন। মায়াবতীও আছেন। আমি চাই, ওখানে ওঁরা বেশি বেশি করে জিতুন।’’