ভিড় চিত্র: চোপড়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
চোপড়াতেই লুকিয়ে আছে দার্জিলিং জয়ের চাবিকাঠি— বুধবার এখানকার জনসভা থেকে এই ভাষাতেই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার চোপড়ার দাসপাড়ার মাঠে জনসভা করেন মমতা। বলেন, ‘‘চোপড়াই দার্জিলিং আসনে তৃণমূলকে জেতাতে পারে। এখানকার সব ভোট পেলে আমরা জিতবই। বিজেপি বদমায়েশি করেছে। কংগ্রেস, সিপিএমকে ভোটটা দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। আমাদের ভোট দিন।’’
প্রায় ৩৫ মিনিটের বক্তব্যে দুই দফায় মমতাকে একই কথা বলতে শোনা যায়। বক্তব্য শেষ করার আগে আবার তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘আপনারা যদি ভোট দেন, দার্জিলিং আমরা জিতবই। চোপড়ার মা বোনের, ভাইবোনের ভোটে আমরা দার্জিলিং জিতব। আপনাদের বলছি, টাকা দিলেও ভোট আমাদের দিন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রায় ১৬ লক্ষ ভোটারের দার্জিলিং লোকসভা আসনের মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের একটা বড় অংশ রয়েছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার ভোট সংখ্যা ২ লক্ষ ২৯ হাজারের মতো। বাম আমলেও কংগ্রেস এলাকা হিসেবে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। ২০১১ সালে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমান নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতেন। পরে যান তৃণমূলে। এর পরে গত কয়েক বছরে তৃণমূল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ২০১৬-তে প্রথম হামিদুলই তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। কংগ্রেস, সিপিএমের পুরনো সংগঠনের সঙ্গে সম্প্রতি বিজেপির সংগঠন তৈরি হয়েছে। সেখানে চোপড়া থেকে ৫০ হাজারের বেশি ‘লিড’ নিতে পারলে শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ের ভোটের নিরিখে প্রার্থী অমর সিংহ রাই অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারেন বলে দলের নেতারা মনে করেন।
এ দিন মমতার সভার আগেও বিধায়ক হামিদুল এবং উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি অমল আচার্যের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা বলেন দার্জিলিং জেলার সভাপতি গৌতম দেব। প্রচারসূচি, প্রচার সামগ্রী ছাড়াও কোথায় কী অবস্থায় আছে, তিনি আবার জেনে নেন। পরে গৌতম সভায় বলেন, ‘‘পাহাড়ে মোর্চা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এখানে আপনারা যেভাবে নেত্রীর সভায় এসেছেন, তাতে চোপড়ায় ৫০-৬০ হাজার লিড হবেই।’’