থিম সঙের বাণী নিয়ে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ

থিম সঙের বাণীর অনুমোদন চেয়ে পরে আবেদন করে রাজ্য বিজেপি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিইও দফতরের মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

জোরদার বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের জন্য ‘থিম সঙ’-এর বাণী জমা দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। সেই আর্জির প্রেক্ষিতে ওই গানের বাণীর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর।

Advertisement

আগাম অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে এসেছিল বিজেপির থিম সঙ। এই নিয়ে ‘শো-কজ’ করা হয় আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে। তার জবাবও দিয়েছেন তিনি। ওই গানের বিষয়বস্তু নিয়ে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই নিয়ে আলোচনার পরে কমিশনে রিপোর্ট পাঠিয়েছে সিইও-র দফতর।

থিম সঙের বাণীর অনুমোদন চেয়ে পরে আবেদন করে রাজ্য বিজেপি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিইও দফতরের মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি)। সিদ্ধান্ত হয়, তা পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সঞ্জয় সিংহের কাছে পাঠানো হবে।

Advertisement

বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু ‘পা নয়, বুক লক্ষ্য করে গুলি’ চালাতে বলেছেন বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে তাঁর ব্যাখ্যা তলব করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার। সায়ন্তন বলেন, ‘‘দলের কাছে নোটিস এসেছে। সময়মতো উত্তর দেব। পঞ্চায়েত ভোটে যে শতাধিক কর্মী মারা গেল, সেই সময় কমিশন কোথায় ছিল?’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আর লোকসভা ও বিধানসভার ভোট পরিচালনা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপি প্রার্থী সে-দিকেই ইঙ্গিত করছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিইও-র কাছে সিপিএমের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, কাগজে অভিযোগ জমা নিচ্ছেন না বিভিন্ন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা। শুধু সি-ভিজিলে অভিযোগ জমা দেওয়া যাচ্ছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সি-ভিজিল ছাড়াও ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ এবং ১৯৫০ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করতে পারেন সকলেই। এ ছাড়াও ন্যাশনাল গ্রিভান্স পোর্টাল, ই-মেল বা কাগজে লিখেও অভিযোগ জমা দিতে পারেন সাধারণ মানুষ।

ভোট পর্বে রূপশ্রী ও সমব্যথী প্রকল্প চালু রাখা এবং আলু কেনার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তিনটি ক্ষেত্রেই অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। তবে কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু রাখার বিষয়ে রাজ্যের কাছে নতুন করে ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই এক দফা ব্যাখ্যা দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু কমিশন তাতে সন্তুষ্ট নয়। প্রশাসনিক কর্তাদের ব্যাখ্যা, অনেক আগেই এই প্রকল্প ঘোষণা হয়েছিল। কৃষকসমাজ এই প্রকল্পের উপভোক্তা। সেটা আগেই নির্দিষ্ট হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement