শহরে রুট মার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর।—নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোট শুরু হতে এখনও বাকি ২৫ দিন। সপ্তম দফায় আগামী ১৯ মে কলকাতা উত্তর-দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রায় দু’মাস আগে শহরে রুট মার্চ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
শনিবার দুপুরের পর থেকে বৌবাজার, উল্টোডাঙা, নিউ আলিপুর, বেহালার বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ শুরু হয়। শুধু রাজপথেই নয় অলিগলিতে ঢুকে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কলকাতার নির্বাচন নিয়ে কে কী ভাবছেন? কোথাও সমস্যা রয়েছে কি না, সে সবও জানতে চান তাঁরা।
শুধু কলকাতাতেই নয়, বিধাননগর, রাজারহাটের বিভিন্ন এলাকাতেও এ দিন সকাল থেকেই রুট মার্চ করছেন জওয়ানরা। গুরুত্ব অনুযায়ী রাজ্যের ন’টি জেলায় মোট ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই ‘এরিয়া ডমিনেশন’ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জগদ্দলে অর্জুন অনুগামীর উপর হামলা, থানা ঘেরাও বিজেপির, জ্যোতিপ্রিয় বললেন, গুন্ডামি ছুটিয়ে দেব
আরও পড়ুন: আবারও চমকে উঠল কলকাতা, কাশ্মীরি শালওয়ালার পেটে ছুরি মেরে টাকা লুট
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে উত্তেজনাপ্রবণ বুথ চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। বিরোধীরা দাবি অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় দু’হাজার, বীরভূমে দেড় হাজার, বর্ধমানে ১ হাজার ২০০, উত্তর দিনাজপুরে ৬০০, মালদহে ১ হাজার ২০০, মুর্শিদাবাদে ১ হাজার, কলকাতায় ৩০০, কোচবিহারে ৫০০, হুগলিতে ১ হাজার, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮০০— সব ক’টি জেলা মিলিয়ে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। যদিও কমিশন এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই সব বুথকে আদৌ উত্তেজনাপ্রবণ ঘোষণা করা হবে কি না, বা তাদের মধ্যে কিছু বুথকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এ দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ জৈন কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৭৯ হাজার বুথের বিষয়ে সবিস্তার খোঁজখবর নিয়েছেন সন্দীপ। জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের আগেই ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে গোটা রাজ্যে।
(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)