ছন্দে, সম্প্রীতির সুরে ভোট প্রচার

এ দিন সকালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে বরাকরে প্রচার সারেন। প্রচার পর্বে বাবুলের সঙ্গে নিজস্বী তোলার ধুম দেখা যায় কর্মী, সমর্থকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০৬
Share:

বারাবনিতে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। ছবি: বিকাশ মশান

কোথাও থাকল আদিবাসী নৃত্যের ছন্দ। কোথাও বা নিজস্বীর ধুম, সম্প্রীতির সুর। এ ভাবেই নানা মেজাজে রবিবারের প্রচারে ঝড় তুলল সব পক্ষই।

Advertisement

এ দিন সকালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে বরাকরে প্রচার সারেন। প্রচার পর্বে বাবুলের সঙ্গে নিজস্বী তোলার ধুম দেখা যায় কর্মী, সমর্থকদের। মূলত বরাকরের স্টেশন রোড এলাকায় রোড-শো, কর্মী বৈঠক করেন বাবুল। সেখানে তিনি ‘আমিও চৌকিদার’, বিজেপির এই প্রচারের প্রসঙ্গটিও কৌশলে তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্প রাজ্য রূপায়ণ করতে দিচ্ছে না। কিন্তু, আমিও চৌকিদার। রাজ্য সরকারের এমন অন্যায় আমরা মানব না।’’ সেই সঙ্গে তিনি তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রাম সিদাবাড়িতে উন্নয়ন করেছেন বলেও দাবি করেন। যদিও অনুন্নয়ন এবং রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

বাবুলের পাল্টা হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম-নীতির বিরুদ্ধে সরব হন, তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। এ দিন বারাবনির পাঁচগাছিয়ায় প্রাক্তন বিধায়ক মানিক উপাধ্যায়ের ছবিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করেন মুনমুন। সঙ্গে ছিলেন মানিকবাবুর ছেলে তথা বর্তমানে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। মূলত কোলিয়ারি অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার চালান মুনমুন। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম-নীতির সমালোচনা করেন তিনি। অভিযোগ করেন, খনি-বন্ধের চেষ্টারও। মুনমুনকে স্বাগত জানাতে আদিবাসী নৃত্য পরিবেশিত হয়। সেখানে তিনি নিজেও যোগ দেন সেই নৃত্যে। পরে সেখানে বক্তব্যও রাখেন। আহ্বান জানান, ‘‘এখানে প্রচুর ফুল আছে। তার মধ্যে ভোটে ঠিক ফুলটিকেই বেছে নিন। ভোটের দিন যেন অশান্তি না হয়।’’

Advertisement

কোলিয়ারি অধ্যুষিত এলাকা বরাকর, কুলটি, রামনগরের নানা প্রান্তে প্রচার সেরেছেন ওই কেন্দ্রেরই সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপি, দুই সরকারের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।’’ বিকেলে আসানসোল জেলা গ্রন্থাগার চত্বরে রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি দেশে বিভাজন তৈরি করছে। আর রাজ্যে লুটেরাদের রাজত্ব চলছে। এখানে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। গণতন্ত্র রক্ষায় মিটিং, মিছিল করলে মামলা হয়।’’ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ও তৃণমূল।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রচারে সরগরম ছিল দুর্গাপুরও। সেখানে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা প্রচার সারেন। সকালে তিনি সিটি সেন্টারের একটি চার্চে গিয়ে প্রার্থনার পাশাপাশি ফাদারের সঙ্গে দেখা করেন। বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে জাতি-ধর্ম নিয়ে কোনও বিভেদ নেই।’’ সেই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement