প্রতীকী ছবি।
সামনে ভোট, ‘রীতি’ ভেঙে আবির খেলবে সিপিএমও। বুধবার অন্তত এমনটাই দাবি করলেন সিপিএমের জলপাইগুড়ির প্রার্থী ভগীরথ রায়। সিপিএমের তরফে ধূপগুড়ি পার্টি অফিস থেকে বাজার পর্যন্ত মিছিল এবং প্রচার করার অনুমতিও নিয়েছে প্রশাসনের থেকে। সিপিএম প্রার্থীর দাবি, আজ বৃহস্পতিবার হোলির দিন সকালে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে বাজারে যাবেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন, প্রচার করবেন এবং আবির খেলবেন। সিপিএম নেতা-কর্মীদের আবির মাখতে আপত্তি না থাকলেও, দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে রং খেলার কথা বলা হচ্ছে এমনটা শোনা যায়নি বলে দলের প্রবীণ নেতা-কর্মীদেরও দাবি। লোকসভা ভোটের বাকি মাসখানেক। ডানপন্থী দলগুলি এর মধ্যেই আবির নিয়ে নেমে পড়েছে। বামপন্থীরাও ভোটের আগে প্রচারের কোনও সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় এ বার।
বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনই আবির খেলা হয়ে গেল জলপাইগুড়ির প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মণের মিছিলে। টিএমসিপির ছাত্রীরা আবির নিয়ে মিছিলে এসেছিলেন। মনোনয়ন জমা হয়ে গেলে সবুজ আবির তাঁরা মাখিয়ে দেন নেতাদের গালে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর কথায়, “আমাদের আবির উৎসব শুরু হয়ে গেল। গণনার দিন চূড়ান্ত পর্বের উৎসব হবে।” জেলা তৃণমূলের থেকে প্রতিটি ব্লককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে যত বসন্ত উৎসব হচ্ছে সবেতেই যেন প্রথমসারির নেতারা যোগ দেন। যে সুর শোনা গেল মালবাজারের নেতার গলাতেও। মালবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, “আমরা দলের পক্ষ থেকে দোল কমিটি গুলিকে সব রকম সাহায্য করছি। মহিলারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে করতে পারেন সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।“
জেলা সভাপতি সৌরভ জসলপাইগুড়ি শহরের সবকটি বসন্ত উৎসবে যোগ দেবেন। জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় তিনটি ওয়ার্ডে আবির নিয়ে শোভাযাত্রাও করবেন।
রাস্তায় থাকবে বিজেপিও। কোনও সভা বা মিছিল নয়। শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। অপরিচিতদের কপালেও আবিরের টিপ পরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বিজেপির উত্তরবঙ্গের যুগ্ন আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক বলেন, “সব নেতা এবং কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। আমরা ভোট প্রচার করব না। সকলের সঙ্গে উৎসবে সামিল হব।” দলে চলে আসা দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে আবির খেলা নিয়ে অবশ্য লুকোছাপা করছেন না সিপিএম প্রার্থী। ভগীরথ রায় বলেন, ‘দু’দিন ধরে রঙের উৎসব চলবে। রংও খেলব, প্রচারও করব।’’