যত ‘দোষ’ সমীক্ষার। বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে দেখানো হচ্ছে সমীক্ষা রিপোর্ট। বলা হচ্ছে, ওই সমীক্ষাই সব। সমীক্ষায় যাঁর যেখানে নাম উঠেছে, তাঁকেই সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্য বিজেপির একাংশ সেই সমীক্ষা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার চতুর্থ দফায় রাজ্যের ১০টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৮ জনের নাম এবং শনি ও রবিবার ১ জন করে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪০টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি আছে বর্ধমান দুর্গাপুর ও পুরুলিয়া।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, ওই ৪০ আসনে ঘোষিত প্রার্থীদের অনেককেই তাঁরা চেনেন না। প্রথম দফার তালিকা প্রকাশের পরেই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘যাঁদের নাম প্রকাশ হয়েছে, তাঁদের সকলকে ভাল ভাবে চিনি না।’’ বস্তুত, ৪০ জন প্রার্থীর অনেকেই যে ‘অচেনা’ তা মেনে নিচ্ছেন রাজ্য দলের একাধিক সাধারণ সম্পাদক। অনেকে আবার যে কেন্দ্রে যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়েও অসন্তুষ্ট। তাঁদের বক্তব্য, এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন করা হলেই উত্তর মিলছে— ‘সমীক্ষা রিপোর্ট’।
আরও ১০ লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী
বহরমপুর কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য
মুর্শিদাবাদ হুমায়ুন কবীর
রানাঘাট (সংরক্ষিত) মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ (সংরক্ষিত) শান্তনু ঠাকুর
ডায়মন্ড হারবার নীলাঞ্জন রায়
হাওড়া রন্তিদেব সেনগুপ্ত
উলুবেড়িয়া জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
কাঁথি দেবাশিস সামন্ত
বাঁকুড়া সুভাষ সরকার
বোলপুর (সংরক্ষিত) রামপ্রসাদ দাস
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নেতৃত্বে গত ১ বছর ধরে একাধিক সমীক্ষা করানো হয়েছে। রাজ্য নেতাদের একাংশের বিস্ময়, তা হলে অতি সম্প্রতি যাঁরা দলে যোগ দিলেন, তাঁদের নাম সমীক্ষা রিপোর্টে এল কী ভাবে? রাজ্যে আসন প্রত্যাশী দিল্লির এক যুব নেতার বক্তব্য, যেখানে লালকৃষ্ণ আডবাণীকেই ‘সমীক্ষা রিপোর্ট’ দেখিয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে রাজ্যের ক্ষেত্রেই বা ব্যতিক্রম হবে কেন!