—ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী হোর্ডিং করে দিতে হবে বলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থাকে ‘ভয়’ দেখানো হচ্ছে, ‘চাপ’ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করল তৃণমূল।
তাদের বক্তব্য, বিজেপির শীর্ষ নেতারা ফোন করে রাজ্যের বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূলের অভিযোগ, জিএসটি অফিসারের ‘ভূয়া’ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে সরাসরি ‘হুমকি’ দিচ্ছেন বিভিন্ন সংস্থার মালিককে। একটি ফোন নম্বরেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও সেই নম্বরে ফোন করা হলে নম্বরটি ‘পোর্ট আউট’ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়। অর্থাৎ, এখন আর তার কোনও অস্তিত্ব নেই।
শুক্রবার তৃণমূল নেতা ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ববি) বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার কাছে বিভিন্ন আউটডোর বিজ্ঞাপন সংস্থা আসে। লাইসেন্স এবং অনুমতির জন্য। কিন্তু তাদের উপর রাজনৈতিক চাপ দেওয়ার সংস্কৃতি এ রাজ্যে নেই। আমরা খবর পেয়েছি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ফোন করে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। জিএসটি অফিসার বলে ভূয়া পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিও সংস্থাগুলোকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন। ওই ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় আমরা বার করেছি। ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের কোনও বিজ্ঞাপন সংস্থাকে আমি চিনি না। ফোন করার প্রশ্নই ওঠে না।’’ তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। সে কারণেই উনি আবোলতাবোল বকছেন।’’