প্রার্থী ব্যস্ত নায়িকা, নাম ঘোষণা করলেন মা

সাঁওতালি ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য সিকিমে গিয়েছিলেন বিরবাহা। গাড়িতে ফিরছেন। কিন্তু ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:২১
Share:

প্রার্থী: অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদা। —নিজস্ব চিত্র।

তিনি প্রার্থী। প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুও তিনিই। অথচ লোকসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে যখন তাঁর নাম ঘোষণা হচ্ছে তখন গরহাজির সাঁওতালি সিনেমার ‘মহানায়িকা’ বিরবাহা হাঁসদা।

Advertisement

সাঁওতালি ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য সিকিমে গিয়েছিলেন বিরবাহা। গাড়িতে ফিরছেন। কিন্তু ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা না করেই ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া আসনে দুই ঝাড়খণ্ডী দলের জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হল। প্রায় দু’দশক পরে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) ও ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি প্রায় নির্বাচনী-জোট করেছে নিজেদের মধ্যে। ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর সভানেত্রী চুনিবালা হাঁসদা এবং ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির সভাপতি আদিত্য কিস্কু। সোমবার ঝাড়গ্রামের এক অতিথিশালায় দু’দ‌লের চূড়ান্ত বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠক করে জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হল। ঝাড়গ্রাম আসনে জোটের প্রার্থী হচ্ছেন চুনিবালার মেয়ে বিরবাহা এবং বাঁকুড়া আসনে প্রার্থী হচ্ছেন ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীরবাবু অবশ্য হাজির ছিলেন। চুনিবালা জানালেন, ‘‘মেয়ে শ্যুটিংয়ের কাজে সিকিমে গিয়েছিল। সময়মতো বিরবাহা ঝাড়গ্রামে পৌঁছতে না পারায় ওকে বাদ দিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করছি।’’

মিমি-নুসরতের মতো টলিউডের অভিনেত্রীরাও ভোটের ময়দানে ঝড় তুলেছেন। তাঁরা অবশ্য ভোট-রাজনীতিতে নবাগতা। তবে বিরবাহা আগেও নির্বাচনে লড়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে বিনপুর বিধানসভা আসনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান মহানায়িকা। এদিন সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ফেরেন বিরবাহা হাঁসদা। বিরবাহা জানান, ‘‘একটি সাঁওতালি ছবির গানের দৃশ্যের ছবির শ্যুটিংয়ে সিকিমে গিয়েছিলাম। ফেরার ট্রেনের রিজার্ভেশন পাইনি। তাই গাড়িতে ফিরেছি। প্রযোজক সমস্যায় পড়বেন, তাই শ্যুটিং করতে গিয়েছিলাম। এখন টানা দু’মাস কোনও শ্যুটিং রাখিনি। জোরদার প্রচার শুরু করব।’’
সাংবাদিক বৈঠকে চুনিবালা এবং আদিত্য দাবি করেন, নির্বাচনীর ইস্তাহারের তাঁদের মূল প্রতিশ্রুতি, জঙ্গলমহলের চার জেলাকে (বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর) নিয়ে স্বশাসিত ঝাড়খণ্ড উপত্যকা পরিষদ গঠনের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে দাবি জানিয়ে জোরদার আন্দোলন। জঙ্গলমহলবাসীর সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে দার্জিলিংয়ের মডেলে ওই স্বশাসিত পরিষদ গঠন করতে হবে। আদিত্য জানিয়ে দেন, তাঁরা সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত স্বশাসিত পরিষদ চান। যেটি দার্জিলিংয়ে নেই।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement