রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।—ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সংসদ— বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজ দিল্লিতে দফায় দফায় সরব হলেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা।
পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গতকাল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সময় চেয়েছিলেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা। আজ বেলা বারোটায় তাঁদের সময় দেন রাষ্ট্রপতি। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে রাজ্য সরকারের মনোভাব-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ করেন দলের সাংসদরা। গত অধিবেশনে সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ, সমাজে ধর্মীয় বিভাজনের উদ্দেশ্যে ওই আইন এনেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুরু থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব ওই আইনের বিরুদ্ধে সরব। আজ বিজেপি সাংসদরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন, তিনি ওই আইন মানতে রাজি নন। উল্টে জনগণের করের টাকায় ওই আইনের বিরুদ্ধে তিনি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। কোনও রাজ্য কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করতে পারে না।
সম্প্রতি এক শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে মারধর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এক কিশোরীকে পুড়িয়ে মারার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সরব হন বিজেপি নেতারা। সে সময় রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, পুলিশ ও তৃণমূল কর্মীদের ভূমিকা-সহ নানা প্রসঙ্গ তোলেন তাঁরা।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। বিজেপির অভিযোগ, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময়ে তাঁকেও কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পরে লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদজ্ঞাপন বিতর্কে বিষয়টি তোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নীরব তৃণমূল। তাদের গো-ব্যাক বলা হচ্ছে না। অথচ রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে।’’
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে আজ সংসদে সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। জিরো আওয়ারে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন স্থানে পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ লকেটের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করায় রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে। লকেটের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদেরা। দলের তরফে বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমশ জমি হারাচ্ছে বিজেপি। সে কারণে এখন মিথ্যে অভিযোগ করে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।