লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। দরজা থেকেই দুঃস্থদের খাবার-বিলি। বুধবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
মোটের উপরে সফল হল বুধবারের লকডাউন। একে বৃষ্টি এবং তার উপরে পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়িতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই পথঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য। কিছু এলাকায় অবশ্য ব্যতিক্রমী চিত্র নজরে এসেছে। অপ্রয়োজনে বাইরে বেরনো নাগরিকেরা শাস্তি-জরিমানার মুখেও পড়েছেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৫৬১ জনকে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় অবশ্য এক বিজেপি নেতা দলবল জুটিয়ে রাম পুজো করেছেন।
বীরভূমে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য শ্যামাপ্রসাদ দাসের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় অবশ্য প্রশাসনের একটু গা-ছাড়া মনোভাব নজরে এসেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীরাও খোল করতাল বাজিয়ে রামের পুজো করেছেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে লাড্ডুও বিলি হয়েছে বলে অভিযোগ।
আসানসোল শহরের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে এ দিন তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ডিসেরগড়ের সুভাষ সেতুতে পুরুলিয়া থেকে আসা গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুর্গাপুরের কয়েক জায়গায় চা ও আনাজের দোকান খুলেছিল। পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে। বাঁকুড়ায় আবার কিছু জায়গায় সার দিয়ে লোকজনকে মাছ ধরতেও দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়ার দিক থেকে শিলদায় আসা পণ্যবাহী লরি আটকে দেওয়া হয়। লকডাউন ভাঙায় দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে অন্তত ২৫০ জন, নদিয়ায় ১৪৯ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।