—ফাইল চিত্র
কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি অংশে ধাপে ধাপে লকডাউন প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্য সরকারও জারি করল নতুন নির্দেশিকা। সেখানে কন্টেনমেন্ট জোন (গণ্ডিবদ্ধ সংক্রমিত এলাকা)-এর বাইরের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। এর আগে রাজ্যে গণ্ডিবদ্ধ সংক্রমিত এলাকাগুলিকে ‘এ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংক্রমণ নেই এমন এলাকাকে ‘সি’ এবং বাফার জোনকে ‘বি’ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
শনিবার নবান্নের তরফে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত গণ্ডিবদ্ধ সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন কার্যকর থাকবে আগের মতোই। তবে বাকি এলাকাগুলিতে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে।
কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য—
১। আগামী ৮ জুন থেকে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে খুলবে শপিং মল।
২। ওই দিন থেকেই খোলা যাবে হোটেল, রেস্তরাঁ।
৩। টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র শিল্পের কাজেও ছাড়। ইন্ডোর এবং আউটডোর শুটিং-সহ অন্যান্য কাজকর্ম শুরু করা যাবে ১ জুন থেকে। তবে একসঙ্গে ৩৫ জনের বেশি জমায়েত না করে। তবে কোনও রিয়েলিটি শোয়ের আয়োজন করা যাবে না।
৪। সরকারি অফিসে মোট কর্মীর ৭০ শতাংশ কাজে যোগ দেবেন রোটেশন পদ্ধতিতে। সেটাও আগামী ৮ জুন থেকে।
৫। বেসরকারি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বাড়ি থেকে কাজে উৎসাহ দিলেও, কর্মীরা কত সংখ্যায় দফতরে যাবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
৬। আগামী ১ জুন থেকে শহরে এবং আন্তঃরাজ্য সরকারি-বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হবে। তবে বাসের আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী বাসে উঠতে পারবেন না। যাত্রীদের মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরতে হবে।
৭। মন্দির, মসজিদ, গির্জা-সহ সমস্ত উপাসনাস্থল খুলবে আগামী ১ জুন থেকে। তবে ১০ জনের বেশি জমায়েত নয়।
৮। চা-বাগান, জুটমিল, ছোট এবং মাঝারি শিল্প এবং নির্মাণ শিল্পে ১০০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবেন আগামী ১ জুন থেকে।
আরও পড়ুন: ১০ দিন পরও জল নামেনি অনেক গ্রামে, ভয় বাড়ছে অসুখেরও
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল, কলকাতায় ছাড়াল ২ হাজার