ছবি:পিটিআই
দিল্লিতে ১৪ দিন কোয়রান্টিন বা নিভৃতবাসে কাটিয়ে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পরে সড়কপথে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন বিরাটির পরিতোষ মজুমদার (৭২)। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে এখন নিজের রাজ্যের সীমানায় আটকে পড়েছেন তিনি। পশ্চিম বর্ধমানের কুমারডুবি চেকপোস্টের কাছে, ঝাড়খণ্ডের একটি ছোট হোটেলে এ ভাবে আরও ঠিক কত দিন আটকে থাকতে হবে, তা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
পরিতোষবাবু বলেন, “দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির জেলাশাসকের কাছে আর্জি জানিয়ে সরকারি ছাপ-মারা লিখিত অনুমতিপত্র নিয়ে সোমবার সকালে আমরা আট জন রওনা হই। সকলেই বাঙালি। বাকিদের বয়স ৬০-৭০। দু’টি ইনোভা গাড়ি ভাড়া (প্রায় ৫০ হাজার টাকা করে) নিয়ে, প্রতিটি গাড়িতে দু’জন চালক-সহ আমরা কোথাও না-থেমে চলে এসেছি। পুলিশ উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের রাস্তায় আমাদের দাঁড় করিয়েছে। কাগজ দেখানোর পরে ছেড়েও দিয়েছে।” কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের কুমারডুবি সীমানায় পৌঁছনোর পরে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। বলা হয়, ওই কাগজ দেখিয়ে এই রাজ্যে ঢোকা যাবে না। রাজ্যের এক পুলিশকর্তা জানান, সম্প্রতি নবান্নে এক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, জরুরি মেডিক্যাল কারণ ছাড়া ভিন্ রাজ্য থেকে সড়কপথে আসা কাউকে বাংলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকাতেও একই কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: নতুন রোগ বলেই কি চিনতে দেরি
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্রুত মুক্তিরই ইঙ্গিত মমতার
ওই পুলিশকর্তা বলেন, “উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ অনেক রাজ্যের জেলাশাসক, এমনকি মহকুমাশাসকেরাও সরকারি সিল মেরে এই ধরনের অনুমতিপত্র দিচ্ছেন। সেগুলো নিয়ে আমাদের রাজ্যে ঢুকতে চাইছেন অনেকে। সীমানায় স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরিকাঠামো নেই। ফলে কেউ সংক্রমণ নিয়ে ঢুকছেন কি না, বোঝা যাবে না।” এর ফলে এই রাজ্যের বিভিন্ন সীমানাবিন্দুতে বহু লোক শংসাপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছেন। পুলিশকর্তা জানান, অন্য রাজ্য থেকে চিকিৎসা করিয়ে আসা রোগীদের বা কারও নিকটাত্মীয় বিয়োগ হলে তাঁদের রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)