ঘাটালে পৌঁছনোর পরে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন ভিন্ দেশে। বাড়ি ফিরতে সহায় হলেন তারকা সাংসদ।
স্থানীয় সাংসদ দেবের উদ্যোগে নেপাল থেকে ঘাটালে ফিরলেন ৩৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক। সকলেই সোনার কাজে যুক্ত। বৈধ অনুমতি না থাকায় তাঁরা নেপাল সীমান্তে আটকে পড়েন। দেব উদ্যোগী হয়ে বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতি আদায় করেন। মঙ্গলবার ঘাটাল থেকে বাস যায় নেপাল সীমান্তে। স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতি বুধবার ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাস ঘাটালে পৌঁছয়। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নেপাল ফেরত প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
বৃহস্পতিবার ফোনে দেব বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে প্রথম খবরটা পেয়ে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনি জানান, সীমান্ত পার করাতে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে। আমি তখন মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও টেক্সট করে সবটা জানাই। তারপর প্রশাসনের তরফেই উদ্যোগী হয়ে কেন্দ্রের অনুমতি জোগাড় করা হয়।’’ দেবের কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম, ওঁদের ফেরাতে তিনদিন মতো লাগবে। কিন্তু প্রশাসনের উদ্যোগে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ওঁদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। যাঁদের কাছেই সাহায্য চেয়েছি, তাঁরা সকলে ঝাঁপিয়ে না পড়লে বিষয়টা হয়তো এত দ্রুত সম্ভব হত না।’’
দেবের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার যে ৩৬ জন ফিরেছেন, তাঁরা দিন দশেক ধরে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। এঁদের মধ্যে চার মহিলা-সহ ৩০ জনের বাড়ি ঘাটাল থানার বিভিন্ন গ্রামে। দু’জন আবার অন্তঃসত্ত্বা। দু’জনের বাড়ি আরামবাগে আর চার জন বাঁকুড়ার বাসিন্দা। ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল বলেন, “সাংসদের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার ৩৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক ঘাটালে ফিরেছেন। ভারত সীমান্তে আসার পরে বুধবার তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।” জানান, জম্মু-কাশ্মীরেও কিছু মানুষ আটকে রয়েছেন। নেপালেও পাঁচশোর বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন। সাংসদের আশ্বাস, ‘‘ওঁদেরও ফেরানোর চেষ্টা চলছে।’’