নিজস্ব চিত্র।
করোনা সংক্রমণ কমানোর অস্ত্র হিসেবে লকডাউন বহু মানুষের জীবন জীবিকাকে খাদের কিনারে এনে ফেলেছে। কার্যত লকডাউন পেশা ও নেশা, দুই-ই কেড়েছে ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এর তৃতীয় স্থান অধিকারী ভিকি দাসের। সংসার চালাতে জোম্যাটো-তে খাবার ডেলিভারি বয়ের কাজ শুরু করেন ভিকি। শুক্রবার রাতে খাবার ডেলিভারি করার সময় ডান দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে এক বাইক। অভিযুক্ত কলকাতা পুলিসের কর্মচারী বলে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভিকির স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল। দুর্ঘটনার সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে ভিকির দাবি।‘‘বাইকের ধাক্কায় ডান দিকের পাঁজরের ২টি হাড় ভেঙে গেল, কবে আবার কাজ শুরু করতে পারব, জানি না। বাবার উপর থেকে সংসারের চাপ কমাতে খাবার ডেলিভারি শুরু করলাম। কিন্তু দুর্ঘটনা সেটাও কাড়ল,’’ আক্ষেপ ভিকির। দুর্ঘটনায় আপতত অনিশ্চিত ভিকির নাচের ভবিষৎ। আবার কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তাও অজানা।
দক্ষিণ কলকাতার রসা রোডের বাসিন্দা ভিকি ২০১৪ সালে রিয়েলিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এ তৃতীয় হন। কলকাতা ও মুম্বইয়ে বিভিন্ন নাচের ওয়ার্কশপ, শো ইত্যাদি করেই চলছিল ভিকির সংসার। কিন্তু কার্যত লকডাইনের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নাচের শো। বাধ্য হয়ে ২ দিন আগেই জোম্যাটো-তে ডেলিভারি বয়ের কাজ শুরু করেন তিনি। শুক্রবার রাতে স্কুটিতে চেপে যোধপুর পার্ক থেকে খাবার ডেলিভারির জন্য রানিকুঠির দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। পরে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৩ মাস নাচ বা বাইক চালানো সম্পূর্ণ মানা করে দিয়েছেন চিকিৎসক। তার পরেও আগের মতো নাচ করতে পারবেন কি না, তারও সঠিক উত্তর নেই।