ফুটেজে দেখা যায়, গভীর রাতে কারখানার সামনে দিয়ে হেলতে দুলতে চলেছে একটি বড়সড় বেড়াল জাতীয় প্রাণী। —নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রাম বা লালগড় নয়। এ বার বাঘের আতঙ্ক ছড়াল কলকাতার উপকণ্ঠে হুগলি শিল্পাঞ্চলের কোন্নগরে। সোমবার সকাল থেকেই এলাকার মানুষ দাবি করতে থাকেন, রাতে বাঘ বেরিয়েছে এলাকায়। তাঁদের দাবির সমর্থনে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া একটি ফুটেজও দেখিয়েছেন কোন্নগরের কানাইপুরের এক ব্যবসায়ী। তবে বন দফতরের কর্মীদের দাবি, ওটা বাঘ নয়, বড় জোড় বাঘরোল হতে পারে।
এ দিন সকাল থেকেই রীতি মতো হইচই পড়ে যায় কানাইপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। চাষের মাঠে বেশ বড় সড় থাবার ছাপ দেখতে পান স্থানীয়েরা। সেই থাবার সূত্র ধরেই বাদামতলার এক আসবাব তৈরির কারখানার বাইরে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়। সেই ফুটেজে দেখা যায়, গভীর রাতে কারখানার সামনে দিয়ে হেলতে দুলতে চলেছে একটি বড়সড় বেড়াল জাতীয় প্রাণী।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই ‘বাঘ’-এর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া বন দফতরে। স্থানীয়দের কয়েক জন আশপাশের ঝোপঝাড়ে তল্লাশি শুরু করেন। সেই তল্লাশিতে এখনও পর্যন্ত কোনও জন্তুর অস্তিত্ব না পাওয়া গেলেও আতঙ্কে সিঁটিয়ে এলাকার মানুষ। বিজন বসু নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় একটা সময়ে অনেক বাঘরোল ছিল। এখনও কিছু আছে। মূলত কানাইপুর লাগোয়া উত্তর মাঠ এবং হিন্দমোটর কারখানার পিছন দিকের দক্ষিণ মাঠ এলাকার গোটাটাই বড় বড় ঝোপঝাড়ে ভর্তি। সেখানে এক সময়ে প্রচুর মেছো বেড়াল বা বাঘরোল ছিল।”
আরও পড়ুন: ভদ্রলোকের রাজনীতি নয়, গোলা দিলীপের
ইউটিউবে সম্প্রীতির বার্তা গাড়িচালকের
এই ফুটেজ ঘিরেই শুরু হয়েছে আতঙ্ক।
বিজনের মতো এলাকার পুরনো বাসিন্দাদের একটা বড় অংশই মনে করছেন, বাঘরোলের ছবিই ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরাতে। কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে অযথা আতঙ্ক না ছড়ায়।”
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি মিনিট্রাকের পাশ গিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বিড়াল জাতীয় ওই প্রাণীটি। তার উচ্চতা ওই মিনিট্রাকের চাকার সমান। সেখান থেকেই স্থানীয়দের দাবি, এত বড় চেহারা বাঘরোলের হয় না। যদিও বন দফতরের কর্মীরা প্রায় নিশ্চিত, বড় চেহারার মেছো বেড়ালকে দেখেই বাঘের ভ্রম হয়েছে।