সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার এজলাসে আরজি কর মামলার শুনানি। রয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীও। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
আরজি কর মামলায় আরও তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় ওই সময়ে পরিবারের আর্জি শুনতে চায়নি হাই কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, পরিবার আবেদন জানালে তা শুনতে পারবে হাই কোর্ট। হাই কোর্টে ওই আর্জি শুনতে কোনও বাধা নেই বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীও।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল পরিবার। তাদের বক্তব্য, অনেক রহস্যের উদ্ঘাটন হয়নি সিবিআই তদন্তে। তাই পরিবারের সদস্যেরা চাইছেন, মামলায় আরও তদন্ত করে দেখুক ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিয়ালদহ আদালত আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলার রায় দেওয়ার আগে কলকাতা হাই কোর্টে এই বিষয়ে আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে সেই আবেদন করা হয়। যদিও বিচারপতি ঘোষ সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের ওই আবেদন শুনতে চাননি। বিচারপতি ঘোষ জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালতের অনুমতি ছাড়া শুনানি সম্ভব নয়। সেই মতো শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আরজি কর মামলা শীর্ষ আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। ওই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না পরিবারের কাছে জানতে চান, তারা কোন আদালতে ওই মামলাটি রাখতে চায়। তারা জানায়, সিবিআই তদন্তে ত্রুটির বিষয়টির বিচার হোক হাই কোর্টে। সোমবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠতেই নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে অনুরোধ করেন যাতে হাই কোর্টের একক বেঞ্চকে বলা হয়, সিবিআইকে এই মামলায় আরও তদন্ত করার জন্য। তবে ওই অনুরোধে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “আমরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। হাই কোর্টের একক বেঞ্চ আবেদন শুনতে পারে।”
সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি বাগচী। প্রধান বিচারপতি তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর পরে আরজি কর মামলার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিচারপতি সঞ্জয় কুমারও ছিলেন ওই বেঞ্চে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ আবেদন শুনতে পারবে। ওই আর্জি হাই কোর্টের শুনতে কোনও বাধা নেই বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না।
সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বসতেই শুরু হয় আরজি কর মামলা। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দী এজলাসে জানান, নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতে হাজির রয়েছেন। শীর্ষ আদালতে তাঁর আবেদন, হাই কোর্টের একক বেঞ্চ যেন সিবিআইকে আরও তদন্তের জন্য বলে। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ মামলা শুনতে পারে।”
সোমবার সকাল ১১টার কিছু পরে বসে প্রধান বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি বাগচী এবং বিচারপতি কুমারও।
সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কিছু সময় আগেই তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না। আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে থাকবেন তিনিও। এ ছাড়া থাকছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমারও।
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলাটি এর আগে শুনানির জন্য উঠেছিল গত ২৯ জানুয়ারি। তার প্রায় দেড় মাস পরে ফের আরজি কর মামলাটি উঠল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি খন্নার এজলাসে।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল পরিবার। তাদের বক্তব্য, অনেক রহস্যের উদ্ঘাটন হয়নি সিবিআই তদন্তে। পুনরায় সেই বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখুক ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিয়ালদহ আদালত আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলার রায় দেওয়ার আগে কলকাতা হাই কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে সেই আবেদন করা হয়। যদিও বিচারপতি ঘোষ সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের ওই আবেদন শুনতে চাননি।
তবে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় হাই কোর্ট মামলা শুনতে রাজি হয়নি। ফলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি শীর্ষ আদালতে শুনানির জন্য উঠেছিল আরজি কর মামলা। ওই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না পরিবারের কাছে জানতে চান, তারা কোন আদালতে ওই মামলাটি রাখতে চায়। তারা জানায়, সিবিআই তদন্তে ত্রুটির বিষয়টির বিচার হোক হাই কোর্টে।
আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। গত ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। পরে ২০ জানুয়ারি শাস্তি ঘোষণা হয়। সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক দাস। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছে সিবিআই। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা সঞ্জয়ের ফাঁসির পক্ষে নয় বলে নির্যাতিতার পরিবার হাই কোর্টে জানিয়েছে।