ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চ। সামনে ভিড় সাধারণ মানুষেরও। — ফাইল চিত্র।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মঙ্গলবার দেশব্যাপী ১২ ঘণ্টার অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বত্র মেডিক্যাল কলেজগুলির ক্যাম্পাসেই অনশনে বসার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সেই মতো দেশের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে অনশন কর্মসূচি। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজেও শুরু হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আরজি কর মামলারও শুনানি রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালত এই মামলাটি শুনবে। এই নিয়ে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলার শুনানিতে কোন কোন প্রসঙ্গ মঙ্গলবার উঠে আসে, সে দিকে নজর জুনিয়র ডাক্তারদের। নজর রাখছে সরকারপক্ষও। সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে কী কী বিষয় জানাবে, তার অপেক্ষাতেও রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার ও আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার শহরে দু’টি কার্নিভাল রয়েছে। এক, রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল। দুই, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। দ্বিতীয়টির জন্য কোনও পুলিশি অনুমতি নেই। কলকাতা পুলিশের তরফে রানি রাসমণি রোড এবং আশপাশের কিছু এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ করতে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে সোমবার রাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দ্রোহের মানববন্ধন হবে। ধর্মতলা থেকে মানববন্ধন শুরু হবে।” তাঁরা পুজোর কার্নিভালকে ভেস্তে দিতে চান না, সে কথাও জানিয়েছিলেন দেবাশিস। প্রসঙ্গত, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ জুনিয়র ডাক্তারেরা ডাকেননি। এটি ডেকেছে সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।
‘আমরণ অনশন’-এ বসে থাকা একাধিক জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার রাতে তনয়া পাঁজাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। সোমবার সকালেও এক বার অসুস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে তখন হাসপাতালে যেতে চাননি তনয়া। উত্তরবঙ্গেও সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে আবার ফেরানো হয় উত্তরবঙ্গের অনশনমঞ্চে। এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি (কলকাতায় চার জন, উত্তরবঙ্গে এক জন)। ধর্মতলা ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে মোট সাত জন জুনিয়র ডাক্তার এখনও ‘আমরণ অনশন’-এ।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির একাদশতম দিন। ১০ দফা দাবিতে এখনও অনড় তাঁরা। সোমবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে খুব বেশি কথা হয়নি বলেই দাবি তাঁদের।