ধূপগুড়িতে চলছে উপনির্বাচন, এখনও পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ, শেষ হাসি হাসবে কে?
ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়। তার আগের দিনই তাঁকে দেখা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়।
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মূল ঘটনা
বিকেল ৩টে পর্যন্ত ভোটের হার
ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ৬৩.৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অর্ধেকের বেশি ভোট পড়ল ধূপগুড়িতে
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে অর্ধেকের বেশি ভোট পড়ল দুপুর ১টার মধ্যে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত ধূপগুড়িতে ভোট পড়েছে ৫১.১২ শতাংশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। কেন বুথের পাশে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তার পর তাঁর সঙ্গে তর্কাকর্কিকে জড়িয়ে পড়েন ওই পুলিশ সুপার। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটের হার
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩৪.২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোটের উপর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে যাচ্ছেন ধূপগুড়ির মানুষ।
সকালের মধ্যে ১৭ শতাংশ ভোট
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে সকাল থেকেই বুথে বুথে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে গিয়েছেন ভোটারেরা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার ১৭ শতাংশ।
প্রার্থী-পুলিশের তর্কাতর্কি
বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় সকাল থেকেই অভিযোগ করছিলেন, বিভিন্ন বুথে দরজার সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে রাজ্য পুলিশও। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, তাদের বুথ থেকে ২০০ মিটার দূরে থাকার কথা। এই নিয়ে একটি বুথে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় এসপির। তিনি জানান, বুথের সামনে পুলিশ থাকবে না, এমন কোনও নিয়ম নেই। এ বিষয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাপসী।
কেন্দ্রীয় বাহিনীতেই কি ‘শান্তি’?
ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে সকাল থেকেই বুথে বুথে লম্বা লাইন। কোথাও তেমন বড় কোনও গোলমাল হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রয়ী বাহিনীর আঁটসাঁট নিরাপত্তা ঘিরে রেখেছে ভোটগ্রহণকেন্দ্রগুলিকে। অনেকেই বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে অশান্তি অনেক কম হত।
তিন ঘণ্টা অতিক্রান্ত
ধূপগুড়িতে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিন ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ভোটগ্রহণ এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু অভিযোগ কানে এলেও মোটের উপর বড়সড় কোনও গোলমাল হয়নি।
তৃণমূল প্রার্থীর ভোটদানও সম্পন্ন
তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ও ভোট দিলেন। সকাল সকাল ভোটদান সেরে ফেলেছেন তিনি। এ বার বুথে বুথে ঘুরে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ধূপগুড়িয়ে জয়ের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
ভোট দিলেন প্রার্থীরা
কাশ্মীরে নিহত জওয়ানের স্ত্রীকে ধূপগুড়িতে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাপসী সকাল সকাল নিজের ভোট দিয়েছেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও গোলমাল হয়নি। জয়ের বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন তাপসী। এ ছাড়া, ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়ও সকালেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন। জয় নিয়ে আশাবাদী তিনিও।
ইভিএম সারিয়ে শুরু ভোটগ্রহণ
ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের যে বুথে ইভিএম বিকল হয়ে পড়েছিল, সেখানে অবশেষে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোটারেরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে। ধীরে ধীরে ভোট দিচ্ছেন সকলে।
রাজবংশীদের রায় কার পক্ষে?
রাজবংশী অধ্যুষিত ধূপগুড়িতে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং সেখানে গিয়ে প্রচার করেছেন। আবার বিজেপি ধূপগুড়ির আসন ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এর মাঝে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থীও লড়াইয়ে রয়েছেন। এই কেন্দ্রের তিন প্রার্থীই রাজবংশী সম্প্রদায়ের। ত্রিমুখী লড়াইয়ে রাজবংশীদের রায় কার পক্ষে যায়, সে দিকে নজর থাকবে।
এক ঘণ্টা ধরে বিকল ইভিএম
ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি বুথের মধ্যে একটি বুথে দীর্ঘ ক্ষণ ভোটপর্ব বন্ধ। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বুথের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটারেরা। সেখানে ইভিএম মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রথমে কয়েক জন ভোট দেওয়ার পরেই ওই মেশিন বিকল হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
বুথের দরজায় পুলিশ কেন? প্রশ্ন বিজেপির
ধূপগুড়ির ২৪৬ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তাদের ২০০ মিটার দূরে থাকার কথা। পুলিশকে দেখে ভোটারেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ বিজেপির। এ বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
ভোটগ্রহণের যন্ত্র বিকল
ধূপগুড়ির কয়েকটি বুথে ভোটগ্রহণের যন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও ভোট শুরু হওয়ার পর যন্ত্র খারাপ হয়েছে, কোথাও আবার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। এই কেন্দ্রগুলিতে সকাল সকাল লম্বা লাইন পড়েছে। বুথের বাইরে বসে অপেক্ষা করছেন ভোটারেরা। যন্ত্র সারানোর চেষ্টা চলছে।
শান্তিতে চলছে ভোটগ্রহণ
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রথম আধঘণ্টায় মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ধূপগুড়ির পরিস্থিতি। কোনও দলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও গোলমালের অভিযোগ আসেনি।
কোন দলের প্রার্থী কারা
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ভোটের লড়াই মূলত ত্রিমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে কাশ্মীরে নিহত জওয়ানের স্ত্রী কাকলি রায়কে। তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র রায়। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভাওয়াইয়া গানের শিল্পী তথা শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র রায়। তিন জনই রাজবংশী সম্প্রদায়ের।
শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান মিতালির
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হারের পর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে আর দল মিতালি রায়কে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। সেই মিতালিই উপনির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে শাসকদল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেছেন। প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি তার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু রবিবার দলবদল করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ নিয়ে বলেন, “মিতালির যোগদান বড় বিষয়। লাভবান হবে বিজেপি।”
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের কারণ
১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বামেদের দখলে ছিল ধূপগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হন মিতালি রায়। এর পর ধূপগুড়ি আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। তবে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে ধূপগুড়ি আসনটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়ের কাছে হেরে যান ২০১৬ সালের জয়ী প্রার্থী মিতালি। সেই বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হচ্ছে ভোট হচ্ছে ধূপগুড়িতে।
ধূপগুড়ি বিধানসভায় উপনির্বাচন
মঙ্গলবার ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দু’টি ব্লক এবং একটি পুরসভায় ২৬০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ২,৬৯,৪১৬ জন ভোটদাতা রায়দান করবেন। ভোটের কাজে মোট ১,০২৪ জন ভোটকর্মী নিযুক্ত থাকছেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। এ ছাড়া অতিরিক্ত কর্মী মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা প্রায় ১,২০০। ২০৫টি জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেখানে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও মোতায়েন থাকবেন। কিছু জায়গায় ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ থাকবে।