প্রতীকী ছবি।
রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার এবং মোবাইল নম্বর যুক্ত করার কাজ শুরু হল রাজ্যে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি কাজ শুরুর এই নির্দেশ পৌঁছেও গিয়েছে জেলায় জেলায়। খাদ্য দফতরের দাবি, গোটা রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতেই প্রতিটি কার্ডের সঙ্গে উপভোক্তার ফোন নম্বর থাকা জরুরি। পাশাপাশি, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেশন বিলি করতে দরকার আধারের সংযুক্তিকরণ।
লকডাউন পর্বে রেশন বিলি-বণ্টন ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরেই প্রতি উপভোক্তার রেশন নিশ্চিত করতে এসএমএস এবং বায়োমেট্রিক পরিষেবা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যে এখন রেশন কার্ড রয়েছে কমবেশি ১০ কোটি মানুষের। কিন্তু সে তুলনায় খুব কম সংখ্যক কার্ডে উপভোক্তার যোগাযোগের নম্বর রয়েছে। ফলে নতুন পরিষেবা কার্যকর করতে অসুবিধায় পড়ছে খাদ্য দফতর। সম্প্রতি ১১ নম্বর ফর্ম তৈরি করেছে দফতর। তার মাধ্যমেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার এবং মোবাইল নম্বর যুক্ত করতে পারবেন উপভোক্তারা।
করোনা আবহে রাজ্যে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ পৃথক ভাবে চালানো অসম্ভব। সেই কারণে নতুন রেশন কার্ড তৈরি বা চালু রেশন কার্ডের সংশোধন-পরিমার্জনের সময় আধার এবং মোবাইল নম্বরের সংযোগ ‘বাধ্যতামূলক’ করা হয়েছে। জেলা, মহকুমা, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত উপভোক্তাদের মোবাইল নম্বর ছাড়াও সম্ভব হলে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এবং ই-মেল আইডি দিতে হবে আবেদনপত্রে। দফতরের এক কর্তার কথায়, “রেশন কার্ড সংক্রান্ত কাজকর্ম অনলাইনে করার সুবিধা দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু উপভোক্তার মোবাইল নম্বর সংযুক্ত না থাকলে নথির প্রতিলিপি-সহ ১১ নম্বর ফর্ম ভর্তি করতে হবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে। তবে একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এসএমএস এবং বায়োমেট্রিক পরিষেবা পুরোদমে চালু করা সম্ভব। আধার-যুক্ত হয়ে গেলে বায়োমেট্রিক যাচাই প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলা যাবে। মোবাইল নম্বরে আসা ‘ওটিপি’ নম্বর দিয়েও রেশন তোলার সুবিধা থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে সুর আরও চড়া তৃণমূলের, আক্রমণে চন্দ্রিমা