— প্রতীকী চিত্র।
পুলিশকর্মীদের মতো এ বার অন্যান্য সরকারি কর্মীরাও সশরীর হাজিরার বদলে ভিডিয়ো মাধ্যমে বা ভার্চুয়ালি হাজিরায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য রাজ্যে ৩৯২টি জায়গা ‘নির্দিষ্ট’ করা হয়েছে। ওই জায়গা বা দফতরে ভিডিয়ো কনফারেন্স ব্যবস্থার সুবিধা আছে। ইতিমধ্যে কোন দফতরের কোন
কর্মী আদালতে সশরীর হাজিরার বদলে কোন অফিস থেকে ভার্চুয়াল সাক্ষ্য দিতে পারবেন, সেই তালিকা জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এর আগে পুলিশকর্মীদের ভিডিয়ো মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়ার ব্যবস্থা রাজ্যের ৬০০টি ইউনিটে করা হয়েছিল। এ বার রাজ্য সরকারের বাকি কর্মীরাও সেই সুযোগ পাবেন। নতুন চালু হওয়া ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ধারা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যে সরকারি কর্মীদের ভার্চুয়াল সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য যে ৩৯২টি জায়গাকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তার মধ্যে বিভিন্ন জেলাশাসকের অফিস, হাসপাতাল, পুরসভার অফিস, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস আছে। মূলত ওই সব অফিসের কোনও একটি ঘরকে সাক্ষ্যদানের ঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভার্চুয়াল সাক্ষ্যদানের আগে সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনও উচ্চ পদাধিকারী ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাক্ষীকে শনাক্ত করবেন এবং তারপরেই কোর্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক, ফরেন্সিক বিভাগের অফিসার ইত্যাদি সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন মামলায় সশরীর হাজির হয়ে সাক্ষী দিতে হয়। তার ফলে বহু ক্ষেত্রেই কর্মস্থল থেকে বিভিন্ন দূরত্বের আদালতে যেতে হত। সাক্ষী দিতে গিয়ে অন্তত একটি দিন কাজ ব্যাহত হত। বহু ক্ষেত্রে মামলার জটিলতায় আরও বেশি দিন কাজ ব্যাহত হত বলেও অভিযোগ সরকারি কর্মীদের একাংশের। ভিডিয়ো মাধ্যমে সাক্ষী দিতে হলে কর্মস্থল থেকে দূরে কোনও আদালতে যাতায়াতের সময় নষ্ট হবে না। কোনও কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ না হলে জলদি নিজের কাজেও ফিরতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মী। প্রশাসনের একাংশের দাবি, এই যুক্তিতেই আরও বেশি করে ভার্চুয়াল সাক্ষ্যগ্রহণে জোর দেওয়া হচ্ছে।