শুক্রবার ভারতীয় সময় দুপুরে হিথরোয় নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উড়ান। —ফাইল চিত্র।
লন্ডনে পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেঘলা আকাশ। টিপটিপে বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে কনকনে হাওয়া।
রবিবার মমতার কোনও সরকারি কর্মসূচি নেই। ফলে তাঁর সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলেই থাকার কথা। মমতা যে হোটেলে থাকছেন, তা বাকিংহাম প্যালেস থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে। এর আগেও লন্ডনে এই হোটেলেই থেকেছেন মমতা। হাঁটতে গিয়েছেন কাছের পার্কে।
ছ’দিনের সফরে ব্রিটেন পৌঁছোলেন মুখ্যমন্ত্রী। নামলেন সেই হিথরো বিমানবন্দরেই। বিপর্যয় কাটিয়ে শনিবারই ছন্দে ফিরেছে হিথরো। যে বিপর্যয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সফর শুরুর সময় প্রায় ১২ ঘণ্টা পিছিয়ে গিয়েছিল।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, শিল্পসচিব বন্দনা যাদব, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রধান পীযূষ পাণ্ডে এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব গৌতম সান্যাল রয়েছেন মমতার সঙ্গে। কলকাতা থেকে একই উড়ানে এসেছিলেন শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী এবং উমেশ চৌধুরী। মমতার সঙ্গে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবাই থেকে যোগ দেন শিল্পপতি উজ্জ্বল সিন্হা এবং মেহুল মোহানকা। সেই ‘টিম বেঙ্গল’কে সঙ্গে নিয়ে বিলেতে পৌঁছোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার সকালের উড়ানে মমতার লন্ডন রওনা হওয়ার কথা থাকলেও হিথরো বিপর্যয় তাতে বাদ সাধে। বিদ্যুৎবিভ্রাটের জেরে শুক্রবার ১৮ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা করেনি ব্রিটেনের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে। মমতার সফর নিয়ে উৎকণ্ঠাও তৈরি হয়েছিল প্রশাসনিক মহলে। যদিও মমতা গোড়া থেকেই বলেছিলেন, তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে পৌঁছোবেন। তা-ই হল। যদিও সফর শুরুর সময় পিছিয়ে যাওয়ায় ‘ধকল’ পড়েছে। কলকাতা থেকে দুবাই, সেখানে কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তার পর দুবাই থেকে লন্ডন দীর্ঘ বিমানযাত্রা— মমতার কথায়, ‘‘শিডিউলটা হেক্টিক হয়ে গেল।’’ কারণ সোমবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে।
সোমবার ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার রয়েছে বাণিজ্য সম্মেলন। বুধবার সরকারি স্তরে বাণিজ্য-বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে আরও কয়েক জন ভারতীয় শিল্পপতিও লন্ডনে গিয়ে পৌঁছোবেন। আগামী বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়: সামাজিক উন্নয়ন। শুক্রবার তিনি লন্ডন থেকে দুবাই হয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন।