— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। অভিমুখ তামিলনাড়ু উপকূল। ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফেনজ়ল’। শনিবার এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তার জেরেই আপাতত ভাটা পড়েছে শীতের আমেজে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গে ফেনজ়লের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও সপ্তাহান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলীয় জেলাগুলিতে।
উপগ্রহ চিত্র জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে পন্ডিচেরি থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং চেন্নাই উপকূল থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ফেনজ়ল। শুক্রবার ভোরের মধ্যে সেটি অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আপাতত শ্রীলঙ্কা উপকূল এড়িয়ে এর অভিমুখ তামিলনাড়ু উপকূল। শনিবার এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। পাশাপাশি, নতুন করে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার আবির্ভাব হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে শুক্রবার সকালের দিকে হালকা কুয়াশায় ঢাকতে পারে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলা। তবে কোথাও ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই।
আলিপুর বলছে, এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বঙ্গের উপকূলীয় চার জেলায়। শুক্রবার থেকে মেঘলা থাকবে আকাশ। শুক্রবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। শনিবার দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
নভেম্বরের শেষ কয়েক দিনে সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রা। কলকাতাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খানিক বেড়েছে। শনিবার পর্যন্ত ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর। এমনকি, নভেম্বরের শেষে রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা বাড়লেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমতে পারে নভেম্বরের শেষে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার দিনভর পরিষ্কার থাকবে আকাশ। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭.১ ডিগ্রি।