দশমীতে চাকরি-প্রার্থীদের অবস্থানে বিমান বসুু ও বামফ্রন্ট নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
অষ্টমীর দিন গিয়েছিলেন কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতারা। নবমীতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজয়া দশমীর দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করে চাকরি-প্রার্থীদের লড়াইয়ের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সব মিলিয়ে এ বার পুজোয় অবস্থানরত চাকরি-প্রার্থীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়ে রাখলেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আন্দোলনকারীদের আর্জি জানিয়েছিলেন পুজোর সময়ে উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু নিয়োগের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ছেড়ে যেতে চাননি চাকরি-প্রার্থীরা। প্রশাসন যাতে এই সময়ে তাঁদের তুলে দিতে না পারে, তার জন্য আদালতের অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। ময়দান চত্বরে গান্ধী মূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া চাকরি-প্রার্থীদের ৭টি দলের সঙ্গে বুধবার দেখা করেছেন বিমানবাবুরা। উৎসবের সময়ে ঘর ছেড়ে অবস্থানে থাকা চাকরি-প্রার্থীদের দশমীর মিষ্টিমুখ করিয়েছেন অশীতিপর বাম নেতা। বাম প্রতিনিধিদলে ছিলেন রবীন দেব, মনোজ ভট্টাচার্য, অশোক ঘোষ, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চট্টোপাধ্যায়েরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এসএলএসটি উত্তীর্ণদের অবস্থান ৫৭০ দিনে পড়েছে। সেখানে গিয়ে বিমানবাবু বলেন, ‘‘সরকারের এই নিয়োগের কাজ অনেক আগেই করে ফেলা উচিত ছিল। এখন বিষয়টা আদালতের বিচারাধীন হয়ে রয়েছে। আদালতের বিবেচনাধীন বিষয়ে সরকারের হাত গলানো মুশকিল। তবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিলে ভাল কথা।’’ চাকরি-প্রার্থীরা বিমানবাবুদের কাছে আবেদন জানান, তাঁরাও যেন সরকারের কাছে দাবি জানান নিয়োগের জন্য। বিমানবাবু বলেন, যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের রেখে দিয়েই কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে বামেরা সব সময়েই আছে বলেও জানান তিনি।
তৃণমূলের তরফে কুণালও বলেছেন, ‘‘সরকার তো চাইছে সমস্যা মিটুক। সব রকম চেষ্টাই চলছে।’’ এসএসসি-র তরফে আদালতের কাছে দু’ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।