তৃণমূল সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। —ফাইল চিত্র
পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরার চেষ্টা নিয়ে চাপানউতোর যখন তুঙ্গে, তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে ওই মেলা আয়োজনের দাবি জানালেন রাজ্যসভার রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ তথা বিশ্বভারতীর কোর্ট সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত।
বুধবার রাতে ‘বিশ্বভারতীর সঙ্কট’ শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ স্বপন। সেখানে বক্তা হিসেবে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, চিকিৎসক ও বিশ্বভারতী কর্মসমিতির প্রাক্তন সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপনের বক্তৃতায় উঠে আসে বিশ্বভারতীর প্রশাসন, দুর্নীতি, পৌষমেলা-সহ নানা বিষয়। তিনি বলেন, ‘‘পৌষমেলা হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য মেনেই হবে। তবে কেন্দ্র এ বার মেলার দায়িত্ব নিক।”
বিশ্বভারতী সম্প্রতি লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তারা পৌষমেলা করতে অপারগ। ওই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। রাজ্য সরকারই পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব নিক—এমন দাবিও উঠছিল বিভিন্ন মহলে। সেই প্রসঙ্গ ছুঁয়ে স্বপনের দাবি, ‘‘কেউ কেউ চায় পৌষমেলা নিজেদের কব্জায় রাখতে। সেটাও ব্যর্থ করতে হবে।’’
বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে যে ভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তারও বিরোধিতা করে স্বপন বলেন, “বিশ্বভারতীর প্রশাসনের মধ্যে অনেক দুর্নীতি ঢুকে গিয়েছে। অনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপাচার্য বা প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়। সেটা রুখতে গিয়েই উপাচার্যকে এমন অনেক পদক্ষেপ করতে হয়েছে, যা বেশির ভাগেরই স্বার্থবিরোধী।’’
বৈঠক ঘিরে প্রশ্ন
বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে আজ, শুক্রবার বাংলাদেশ ভবনের কনফারেন্স হলে দুই অর্ধে সমস্ত কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দু’টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বভারতীতে কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকদের মিলিত সংখ্যা প্রায় ১১০০। সেই হিসেবে দুপুর ২টোর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৭০০ জন এবং বিকেল চারটের বৈঠকে প্রায় ৪০০ জন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই বিপুল জমায়েত কতটা নিয়মসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।