রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বামেদের প্রতিবাদ মিছিল। নিজস্ব চিত্র
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মেনেই দিনভর পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি করল বামফ্রন্ট। বুধবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় বামেদের বিভিন্ন গণ সংগঠন এসে কমিশনের দফতর ঘেরাও করে। শাসকদল তৃণমূলের ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোট, আদালত অবমাননা, নির্বাচনে বেনিয়মের প্রতিবাদ ও পুলিশ বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রেখে শাসকদলকে মদত দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করে বামেরা। দফায় দফায় বামেদের বিভিন্ন গণ সংগঠন এসে বিক্ষোভ দেখানোয় কলকাতা পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। কমিশনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হন রবীন দেব, মিনতি ঘোষ, পলাশ দাস, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দু পাণিগ্রাহী, মধুজা সেনরায়-সহ ২৫০ জন বাম নেতা-কর্মী-সমর্থক।
রাতে তাদের জামিনে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভরত বাম কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি গ্রেফতারির প্রতিবাদে আগামী ৩০ ডিসেম্বর কলকাতার সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডভিত্তিক মিছিল বার করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা জেলা সিপিএমের সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে কাজ করছে, তাতে তাদের কোনও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী ধরা পড়ছে না। ভোটের নামে প্রহসন করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা কোনও রক্ষাকবচ দিতে পারেনি। তাদের কোনও ভুমিকাই লক্ষ্য করা যায়নি।’’