ছবি সংগৃহীত।
খাদ্য আন্দোলনের শহিদ দিবসে এ বার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বার্তা দিতেই এ বার খাদ্য শহিদ স্মরণের কর্মসূচি নিচ্ছে বামেরা। লকডাউনের মধ্যেই আজ, সোমবার খাদ্য শহিদ স্মারকে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার কথা বাম নেতৃত্বের। আর সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই খাদ্য শহিদ স্মরণ করবে পরের দিন রেশন কার্ডবিহীন মানুষের হাতে এক দিনের রেশন বিলি করে।
প্রতি বছরই ৩১ অগস্ট খাদ্য শহিদ দিবস পালন হয়। ওই দিনটিকে লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়ার জন্য প্রথমে আবেদন করেছিল বামেরা। সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় বামেদের তরফে পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খাদ্য শহিদ দিবসের কোনও জমায়েত তারা করবে না। তবে বিমান বসু-সহ বাম নেতৃত্ব চিরাচরিত রীতি মেনে খাদ্য শহিদ স্মারকে মালা দিতে যাবেন। বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, তার জন্য পুলিশ গ্রেফতার করলে করবে! করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বার ১ সেপ্টেম্বর শহরে যুদ্ধ-বিরোধী মিছিলও হচ্ছে না। তার বদলে হো চি মিন মূর্তি চত্বরে জড়ো হয়ে বিমানবাবুরা ওই দিন সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে দাবি-দাওয়া জানাবেন।
বাম যুবরা অবশ্য অন্য ভাবে খাদ্য শহিদ স্মরণের পরিকল্পনা করেছে। লকডাউনের জন্য আজ বাদ দিয়ে কাল, মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে শিবির করে তারা রেশন কার্ডবিহীন মানুষকে চাল-ডাল ও খাদ্যসামগ্রী দেবে। তাদের অভিযোগ, সরকারি ঘোষণা সত্ত্বেও কার্ডবিহীন মানুষ রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন না। যাঁরা কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের কুপন দেওয়া নিয়ে দলবাজির অভিযোগ আসছে। এই পরিস্থিতিতে ডিওয়াইএফআই-এর ইউনিট কমিটির উদ্যোগে এবং নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগত ভাবে বিপন্ন মানুষকে চাল-ডাল দেবেন। বামেদের আয়োজনে যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনও ১৫০ দিন পার করেছে। এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার জন্য রবিবার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
রেশন দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল ডিওয়াইএফআই। সেই সূত্রেই কার্ডবিহীন মানুষের যে তথ্য তারা সংগ্রহ করেছিল, তা কাজে লাগিয়েই এমন কর্মসূচির আয়োজন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের দাবি, ‘‘যে কাজ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের করার দায়িত্ব, তা আমরা করে দেখাব। সরকার না পারলে ব্যর্থতা কবুল করুক!’’ হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রেশন অফিসার নিয়োগ আদৌ হয়েছে কি না, তা জানতে ৩ সেপ্টেম্বর রেশন দোকান অভিযানের কর্মসূচিও নিয়েছে তারা।