Electricity Amendment Bill 2020

বিদ্যুৎ বিলের বিরোধিতা বামের, আপত্তি রাজ্যেরও

এনসিসিওইই-র বক্তব্য, ওই বিল কার্যকর হলে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা প্রায় পুরোটাই বেসরকারি হাতে চলে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৪:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা পরিস্থিতিজনিত বিপর্যয়ের মধ্যেই ‘বিদ্যুৎ (সংশোধন) বিল, ২০২০’ আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে যেমন বিদ্যুৎ পরিষেবার বহুলাংশই বেসরকারিকরণের দিকে যাবে, তেমনই রাজ্য সরকারগুলির এক্তিয়ার খর্ব হবে বলে অভিযোগ বিদ্যুৎকর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন সংগঠনের। এমন বিলের বিরোধিতা করার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যের তরফে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, রাজ্যকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে মানুষের স্বার্থবিরোধী বিল কেন্দ্র আনতে চাইলে রাজ্য তা কার্যকর না করার কথাই ভাববে।

Advertisement

সংশোধনী বিল এনে কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে পুরোপুরি বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে, এই অভিযোগে সোমবার দেশ জুড়ে ‘কালা দিবস’ পালন করেছে বিদ্যুৎকর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ কমিটি এনসিসিওইইই। প্রতিবাদ হয়েছে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রগুলিতে। এনসিসিওইই-র বক্তব্য, ওই বিল কার্যকর হলে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা প্রায় পুরোটাই বেসরকারি হাতে চলে যাবে। পারস্পরিক ভর্তুকির ব্যবস্থা কার্যত উঠে যাবে, প্রি-পেড মিটার চালু হলে অনেক কর্মী কাজ হারাবেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ওই কমিটি।

সেই চিঠি সংযোজন করে বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবু এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন, লকডাউনের সময়কে বেছে নিয়ে কেন্দ্র শ্রম আইন সংশোধনের পরে এ বার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের দিকে হাত বাড়িয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘বিদ্যুৎ সংবিধানের যুগ্ম তালিকাভুক্ত হলেও প্রস্তাবিত বিল কার্যকর হলে তা কার্যত কেন্দ্রীয় বিষয়ে পর্যবসিত হবে। রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করার ক্ষমতা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। রাজ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে এটি একটি সরাসরি হস্তক্ষেপ’। আরও কয়েকটি রাজ্যের মতো এ রাজ্যও যাতে বিলের বিরোধিতা করে, মুখ্যমন্ত্রীকে সেই আবেদন জানিয়েছেন বাম নেতা।

Advertisement

এই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেববাবুর বক্তব্য, ‘‘এই সংক্রান্ত প্রস্তাব এখনও নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়নি। তবে এই রকম আইন করলে তা সামগ্রিক ভাবে সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী হবে। কর্মচারীদের পেশাগত নিরাপত্তা নষ্ট হবে। বিদ্যুৎ যৌথ তালিকাভুক্ত। সে রকম হলে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে রাজ্যে সেই আইন কার্যকর না করার কথা ভাবতে হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘শ্রম আইন বদলের ভাবনাতেও এই রকম ভাবে শুধু শিল্পপতি, পুঁজিপতিদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement