কলেজ স্ট্রিট মোড়ে অবরোধ বাম ও কংগ্রেস ছাত্র, যুব সংগঠনের। নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন অভিযানে গিয়ে আহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত। জেলার পাশাপাশি বুধবার বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল কলকাতায়। গোটা রাজ্যে প্রায় আড়াইশো থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বাম যুব ও ছাত্রেরা। শহরে বিক্ষোভ হল ১৫টিরও বেশি থানার সামনে। কর্মসংস্থানের দাবিতে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের মারে যুব কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ সামনে রেখে আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৫৬টি জায়গায় রেল অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছে বামেরা। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ‘রেল রোকো’র কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিতই ছিল। মইদুল-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবে বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলিও। তবে পরীক্ষা থাকায় আজ বিকেল ৩টের পরে অবরোধ হবে বলে বাম নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
কলকাতায় এ দিন বড়সড় বিক্ষোভ হয়েছে যাদবপুর ও আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকায়। যাদবপুর থানার সামনে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলে বেশ কিছু ক্ষণ। পরে থানার রেলিং টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েন এক দল এসএফআই সমর্থক। সেই ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। অন্য দিকে, মইদুল-কাণ্ডে দোষী পুলিশের শাস্তি চেয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় দাবিপত্র দিতে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআইয়ের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা। পরে কলেজ স্ট্রিট ও মহাত্মা গাঁধী রোডের সংযোগস্থলে অবরোধ করেন বাম ও কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সমর্থকেরা। পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর কুশপুতুল। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার সামনে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীক-উর রহমান।