SFI

স্নাতকে ভর্তি ফি মকুবেরও দাবি বাম পড়ুয়াদের

ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং ডিএসও— দু’পক্ষেরই দাবি, ভর্তির ফর্ম বিনামূল্যে মিলবে বলে সরকার যে-সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মূলে আছে তাদের আন্দোলন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২০ ০২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতিমারির আবহে এ বার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির ফর্মের দাম দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, শুধু ফর্মের দাম মকুব করলেই হবে না, সেই সঙ্গে ভর্তির ফি-ও মকুব করতে হবে।

Advertisement

ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং ডিএসও— দু’পক্ষেরই দাবি, ভর্তির ফর্ম বিনামূল্যে মিলবে বলে সরকার যে-সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মূলে আছে তাদের আন্দোলন। এ বার ভর্তির ফি মকুব করা হোক। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভর্তির ফর্মের দাম মকুবের ঘোষণা নির্দিষ্ট ভাবে আমাদেরই আন্দোলনের জয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিলাম।’’ তাঁর দাবি, নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের আদর্শে এ বার সব ধরনের ফি মকুব করতে হবে। ওই কলেজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি বছরে ভর্তি ফি বাবদ ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে মাত্র একটি টাকা নেওয়া হবে। ডিএসও-র রাজ্য কমিটির সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়কের দাবি, সরকার ভর্তির ফর্ম বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে তাঁদের আন্দোলনের চাপেই। এ বার শিক্ষায় সব ধরনের ফি মকুব করতে হবে।

টিএমসিপি-র রাজ্য সম্পাদক তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের প্রাক্তনী এবং সেখানকার প্রাক্তনী সংসদের সম্পাদক। শিক্ষা সূত্রের খবর, তৃণাঙ্কুর ভর্তির ফি মকুব করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। শনিবার তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন।’’ তাঁর বক্তব্য, টিএমসিপি রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফি মকুবের দাবি জানাচ্ছে না। বহু কলেজই ইতিমধ্যে ভর্তির ফি অনেকটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরেও ওই সব কলেজের পড়ুয়ারা যদি দাবি জানিয়ে পুরো ফি মকুব করাতে পারে, সেটা তো খুবই ভাল। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ ভর্তির ফি না-নেওয়ায় যে-ক্ষতি হবে, ছাত্র সংসদের তহবিলের টাকা এবং কলেজের বিভিন্ন তহবিলের টাকা যোগ করে তা মেটানোর চেষ্টা হবে। তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘অন্য কলেজগুলো এমন চেষ্টা করলে হয়তো সফল হতে পারে। আমাদের দাবি, সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ই যেন অভাবী পড়ুয়াদের দিকটা দেখে।’’

Advertisement

এ দিকে, ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরুর চার দিনের মাথায় সরকার ভর্তির ফর্মের দাম মকুব করায় একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই চার দিনে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে অনেকেই টাকা দিয়ে ভর্তির ফর্ম পূরণ করেছেন। এসএফআই, ডিএসও-র দাবি, যাঁদের কাছ থেকে ওই চার দিনে ফর্মের দাম নেওয়া হয়েছে, তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। ফর্মের টাকা কী ভাবে ওই ছাত্রছাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে সরকার এখনও সুস্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement