প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে জোট থাকবে কি না, সেই প্রশ্নের মীমাংসা আপাতত বকেয়া রাখল বামফ্রন্ট। বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-বিরোধী কর্মসূচি নিয়েই আন্দোলনের পথে যেতে চাইছে তারা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকার বিরুদ্ধেও বিরোধী শিবির হিসেবে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে বামেরা।
আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পেট্রল-ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয়ে দেশ জুড়ে কেন্দ্র-বিরোধী যে কর্মসূচি পাঁচ বাম দল নিয়েছে, এ রাজ্যে বিকেন্দ্রীভূত ভাবে তা পালন করা হবে। কার্যত লকডাউনের মধ্যে কলকাতায় কোনও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি না করে জেলা এবং ব্লক স্তরে আগামী ২৪ থেকে ৩০ জুন কর্মসূচি চলবে। বামফ্রন্টের বাইরে অন্যান্য বাম দলকেও সেই কর্মসূচিতে শামিল করার চেষ্টা হবে। সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে প্রস্তাব দেন, লক্ষদ্বীপের প্রশাসকের মতো এ রাজ্যের রাজ্যপালকেও ‘কল ব্যাক’-এর দাবি তোলা হোক বামেদের তরফে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই রাজ্যপালের ভূমিকা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলার আগে তাঁর মতিগতি আরও একটু পর্যবেক্ষণে রাখা ভাল। আপাতত রাজ্যপালের ‘পক্ষপাতমূলক ভূমিকা’র প্রেক্ষিতে সমালোচনামূলক অবস্থান নিয়েই এগোবে বামফ্রন্ট।
দুই ‘ক্রাচ’ কংগ্রেস এবং আইএসএফ-কে ছেড়ে বামফ্রন্ট ফের নিজের পায়ে চলুক, প্রকাশ্যেই এই দাবি তুলেছিল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। সিপিআই নেতারা এ দিনের বৈঠকে বলেন, ফ ব যে কথা প্রকাশ্যে এনেছে, তা চলতে থাকলে ফ্রন্টের পক্ষে ভাল হবে না। তাই এই বিতর্কের সমাধান প্রয়োজন। অবস্থান চূড়ান্ত করার কথা বলেন অন্য শরিক নেতৃত্বও। আলোচনায় ঠিক হয়েছে, সিপিএম-সহ ফ্রন্টের শরিকদের দলীয় পর্যালোচনার প্রক্রিয়া আগে সম্পূর্ণ হোক। শুধু ভার্চুয়াল বৈঠকে সব কাজ করা অসুবিধাজনক। কংগ্রেস এখন কোন দিকে এগোবে, তা-ও দেখা প্রয়োজন। তার পরে আলোচনার ভিত্তিতে বামফ্রন্টের অবস্থান ঠিক করা যাবে। প্রসঙ্গত, সিপিএমের পরবর্তী রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে ১৯-২০ জুন। কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে ওই বৈঠকও হবে ভার্চুয়াল।