শাসকের দল ভাঙানোর প্রতিবাদ পথে নেমে

শাসকের লাগাতার দল ভাঙানো এবং মিথ্যা মামলায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর অভিযোগ সামনে রেখে প্রতিবাদে নামছে বামফ্রন্ট। আগেই এই নিয়ে প্রতিবাদের কথা বলেছিল বামেরা। কিন্তু সাধারণ ধর্মঘটের প্রচারের আড়ালে সে সবই পিছনে চলে গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৮
Share:

শাসকের লাগাতার দল ভাঙানো এবং মিথ্যা মামলায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর অভিযোগ সামনে রেখে প্রতিবাদে নামছে বামফ্রন্ট। আগেই এই নিয়ে প্রতিবাদের কথা বলেছিল বামেরা। কিন্তু সাধারণ ধর্মঘটের প্রচারের আড়ালে সে সবই পিছনে চলে গিয়েছিল। এখন ফের জেলায় জেলায় এই প্রশ্নে বিক্ষোভের পথে যাচ্ছে তারা।

Advertisement

আলিমুদ্দিনে বুধবার বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কোনও না কোনও দফতরের সামনে ধর্না-বিক্ষোভ চলবে। জেলা পরিষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পর্যন্ত ভাঙিয়ে নেওয়া চললেও কিছু জেলায় ফ্রন্ট কেন প্রতিবাদে কিছুই করতে পারেনি, তা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বাম নেতৃত্ব। ঠিক হয়, এ বার ফাঁকি না দিয়ে জোর কদমে প্রতিবাদে নামতে হবে। পরে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘‘কোনও জেলায় হয়তো কিছু অংশে কর্মসূচি হয়েছে। বাকি অংশে হয়নি। এখন সেখানেও করতে হবে।’’

দল ভাঙানোর ঘনঘটা রুখতে আইনি লড়াইয়ের ভাবনাও এখন রয়েছে বিরোধী শিবিরে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীরা এ দিনই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে দেওয়ার পরেও দুই বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য ও দীপালি বিশ্বাস দু’দলের পরিষদীয় নেতৃত্বের কারণ দর্শানোর চিঠির জবাবে দাবি করেছেন তাঁরা দলত্যাগ করেননি! এই প্রেক্ষিতেই আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। পরে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও মান্নানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। দলত্যাগী বিধায়ক রেজিনগরের রবিউল আলম চৌধুরীকেও কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছেন মান্নান।

Advertisement

ঘরছাড়াদের ফেরানোর দাবিতে ২৯ সেপ্টেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে দিনভর অবস্থানে বসবে বামপন্থী কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। সেই সঙ্গেই বিমানবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ধর্মঘটে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের অনেককে আর কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। ধর্মঘট করারও অধিকার আছে বলে আদালত যে কথা বলেছে, তাকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement