রবিবার হুগলির কোন্নগর বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত বামপন্থী দলগুলির ডাকে ‘সম্প্রীতির মহামিছিল’ করা হয়। —নিজস্ব চিত্র।
রামনবমীর শোভাযাত্রা এবং মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর-সহ রাজ্যের ৩ জায়গায় অশান্তির ঘটনা অঙ্কুরেই রোধ করা যেত। রবিবার বামেদের সম্প্রীতির মিছিল কর্মসূচিতে নিজের ভাষণে এমনই দাবি করলেন রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর প্রশ্ন, অশান্তির ঘটনা আগে থেকে আঁচ পাওয়ার দাবি করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তা রোধ করলেন না? যদিও এই বিমানের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল। তাঁদের মতে, এ নিয়ে বামেদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক দিলীপ যাদবের দাবি, এ বিষয়ে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার হুগলির কোন্নগর বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত বামপন্থী দলগুলির ডাকে ‘সম্প্রীতির মহামিছিল’ করা হয়। এই মিছিলে সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ছাড়াও যোগ দেয় এসইউসিআই এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের নেতৃত্ব। মিছিলে পা মিলিয়েছেন রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিল শেষে উত্তরপাড়ার মঞ্চে উঠে ভাষণে বিমান বলেন, ‘‘হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি হবে, মুখ্যমন্ত্রী নাকি এক মাস আগে গন্ধ পেয়েছিলেন। তা হলে গোয়েন্দা লাগিয়ে সেটা আটকালেন না কেন? অশান্তি তো অঙ্কুরেই ঠেকানো যেত।’’
মিছিল ঘিরে অশান্তি নিয়ে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি বিমানের। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (তথ্য অনুসন্ধানকারী দল)-কে (রাজ্যে) ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? কী লুকোনোর রয়েছে? নিশ্চয়ই কিছু লুকোনোর রয়েছে, না হলে কেন তাদের আটকানো হবে?’’
প্রশাসনের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘‘দাঙ্গাবাজদের জন্য দয়ামায়া দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। দাঙ্গাবাজরা সমাজের শত্রু।’’
যদিও বামেদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক দিলীপ যাদব। তাঁর দাবি, ‘‘কোথাও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত মূল্যায়ন করে তা নিয়ন্ত্রণ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গোটা দেশে আমাদের রাজ্য সরকারের সুনাম রয়েছে। বামপন্থীদের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।’’