—ফাইল চিত্র।
যোগ্যতার অনুপাতে কম বেতনের বিনিময়ে যাঁরা সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন, তাঁদের স্বার্থে শুক্রবার বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনল বাম এবং কংগ্রেস। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য পড়তে দিলেও তা নিয়ে আলোচনা করতে দেননি। প্রতিবাদে হইচই করেন বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করা।
পরে সভার বাইরে মিডিয়া কর্নারে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী, পার্শ্ব শিক্ষক, সিভিক পুলিশ, ভিলেজ পুলিশ, প্রাণিবন্ধু, এসএসকে, এমএসকে-সহ সরকারের প্রতি ক্ষেত্রের চুক্তিভিত্তিক, অস্থায়ী এবং ক্যাজুয়াল কর্মীদের প্রতি বঞ্চনা চরম। দারুণ লেখাপড়া করে, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ৫ হাজার, ৬ হাজারের মতো সামান্য টাকায় যুবক-যুবতীদের চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে হচ্ছে। অনেককে এক মাস কাজ করিয়ে ২০ দিনের বেতন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এঁদের কথা শোনে না, দাবিপত্রও নেয় না, এমনকি, বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়। সুজনবাবু বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমরা বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনা করতে দেওয়ার মুরোদ সরকারের হয়নি। তবে সমকাজে সমবেতন না হওয়া পর্যন্ত মানুষের জীবিকার লড়াই চলবে।’’ ওই ‘বঞ্চিত’ কর্মীদের একাংশকে এ দিন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করিয়ে দেন সুজনবাবু। এ দিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বেঙ্গল গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমাবেশেও যোগ দেন সুজনবাবু, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, এসইউসি নেতা তরুণকান্তি নস্কর।