সিভি আনন্দ বোস এবং শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সন্দেশখালি যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজের ভাষণ শুরু করলে, সেখান থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে বিধানসভা থেকেই বিজেপি বিধায়করা সন্দেশখালিতে 'মহিলাদের উপর নির্যাতন'-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করে রাজভবনে যান। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যপাল কেরলে রয়েছেন। তাই বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে বিরোধী দলনেতা তাঁদের দাবির কথা রাজ্যপালের দফতরে জানিয়ে আসেন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, "আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। সেই সঙ্গে সেখানে মহিলাদের উপরে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সদর্থক পদক্ষেপ নিতে বলেছি।" এর পর তিনি আরও বলেন, "যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যপাল সন্দেশখালিতে না যান, তা হলে আমরা আগামী সোমবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যাব।"
শুক্রবার থেকে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। শনিবার বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল সন্দেশখালি গেলে তাদের পুলিশের তরফে আটকে দেওয়া হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি বিধায়করা সন্দেশখালিতে গেলে তাঁদের কি পুলিশ প্রশাসন আদৌ সেখানে ঢুকতে দেবে? কিন্তু বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "রাজ্যে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী মহিলাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। সন্দেশখালিতে সেই গুন্ডাবাহিনীর অপকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানকার মহিলারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। যা শুনে বাংলার মানুষ শিউরে উঠেছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে জনজাগরণ শুরু হয়েছে তাঁদের হাত ধরে। তাই আমরা সেখানে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে যাব। পুলিশ আটকালে আমরাও আমাদের মতো করে জবাব দেব।"
অন্য দিকে, রাজভবন সূত্রে খবর, কেরল থেকেই আগামী ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যেতে পারেন রাজ্যপাল। শনিবার রাজভবন সূত্রে খবর, ওই সময় রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। সম্প্রতি তিনি দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু, ফের তাঁর দিল্লি সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।